দাদি তোমার সেই বাঁকা লাঠিটা দেবে
জঙ্গল থেকে যখন দাতাল শুকরেরা
জনপদে ঢুকে ঘুত ঘুত করে ঘুরে বেড়াত
মানুষের উপর আক্রমন করতো
তখন তোমাকে দেখেছি মুখে হু-হু শব্দ করে
পিঠে শপাক বসিয়ে দিতে।
শুকর গুলো দৌড়ে পালাতো।


এখন আর সেই জঙ্গল নেই,
নেই দাতাল শুকরের পাল
আমাদের সমাজে এখন দেখি মানুষ রুপী
কিছু দাতাল শুকরের আনা গোনা।
রাজনৈতিক জঙ্গলে তাদের বসবাস
তারা বিভিন্ন ভাবে
সাধারন জনগনের উপর হামলা করে-
কখনও পেট্রোল বোমা ছোড়ে,
কখনও রেল-লাইনের স্লিপার তুলে ফেলে
আবার কখনও আমাদের জ্ঞাতী ভাইদের
বাড়ি ঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।
আজ ভিত স্বন্ত্রস্ত হয়ে উঠেছে
মানুষের জীবন ব্যবস্থা।
রাষ্ট যন্ত্র আজ দর্শকের ভূমিকায়,
তারা ইচ্ছে করলেই পারে ঐ দাতাল
শুকরের বিষদাত ভেঙ্গে দিতে
কিন্তু তা তারা করবেনা।
এটাকে পুঁজি করে
জন সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করে যাচ্ছে।
ক্ষমতায় থাকাটা পাঁকা করতে চাচ্ছে।


অন্যরা গণতান্ত্রিক অধিকার-
আদায়ের নামে নৈরাজ্য করে
রাষ্ট যন্ত্রের খুটিটাকে নড়বড়ে করে দিয়ে
ক্ষমতায় আসার পথ সুগম করতে চাচ্ছে।


নিরিহ সাধারণ মানুষের জীবন আজ ওষ্ঠাগত
এ থেকে বাঁচতে হলে চাই
ষোল কোটি মানুষের জন্য
এক একটা করে তোমার সেই বাঁকা লাঠি
যা দিয়ে-
মানুষ রুপি দাতাল শুকরদের তাড়াতে পারি।


===========****=========
কবিতাটি পড়ে
কেমন লাগল সেটা
জানার অধিকার থেকে বঞ্চিত
করবেন না।


## অনুগ্রহ করে মন্তব্য করুন।