প্রিয় শিশির,
পত্রের শিরোনামে সুবাসিত হোক শেফালী,
বকুল আর জুঁই চামেলীর রক্তিম প্রভাতে
জীবনের আমেজ পূর্ন সোনলী সকালে
পাখির কিচির মিচির ডাক
শিশিরের সৌন্দর্য্যানভুতি আজ আমার সমস্ত দ্বার
উন্মোচন করে ফেলেছি শুধু তোমাকে ভেবে।


শিশির তুমি আজ আমার এই চিঠি
কেমন ভাবে গ্রহন করবে তা আমি জানিনা।
তবে আমি আজ তোমাকে সত্যিই ভালোবেসে ফেলেছি।
আজ আমার ভালোবাসা গ্রহন করে তুমি আমাকে
স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে দাও।
শিশির আমি তোমাকে আমার করে নেব আকাশ যেমন সূর্য্যকে
বাতাস যেমন গন্ধকে, সাগর যেমন ঝিনুককে ,
ঝিনুক রাখে মুক্তাকে
আমিও তোমাকে আমার করে নেব।
শিশির ফুল কথা বলে ভ্রমরের সাথে নদী গল্প করে কূলের সাথে,
সুর বাঁশিতে যেমন ভাব হয় সুরে সুরে, মেঘেরা বৃষ্টির সাথে,
কোকিল বসন্তের সাথে তেমনি আমিও তোমার সাথে।
শিশির চাতক পাখি যেমন পানির অপেক্ষায় থাকে
আমি তোমার জন্য অপেক্ষায় আছি।
শুধু তোমার জন্য।
তোমার সাথে দেখা করার জন্য।
শিশির ভালোবাসা বিধাতার
একটি অমূল্য দান ।
আজ আমার মনের মধ্যে তোমার জন্য যে,
ভালোবাসা জন্ম নিয়েছে।
এটা ও বিধাতার দান।
শিশির আমি এখন তোমাকে সারাক্ষন উপলব্ধি করি ।
শিশির আমি আমার সমস্ত ভালোবাসা
তোমাকে দিয়ে দেব।
আমার মন প্রান তোমাকে উজাড় করে দেব।


শিশির পৃথিবীর প্রতিটি জিনিস পরিবর্তনশীল।
এই পরিবর্তনের মধ্যে আমিও।
পরিশেষে তোমার সুন্দর ভবিষ্যৎ কামনা করে
শেষ করছি খোদা হাফেজ।


ইতি তোমার
কণা