আমার মায়ের শাখা সিঁদুর হারালো কোথায়
হেথায় হোথায় সেথায় খুজি সাড়াটি বাংলায়
কোথায় গেলে পাইগো-বলো কোথায় গেলে পাই
হেথায় হোথায় সেথায় খুজি সাড়াটি বাংলায়-


দোয়েল শ্যামা গানে গানে মিষ্টি সুরে কয়
তোর বাবারই রক্ত দিয়ে বাংলা হলো জয়,
এ ডাল ওডাল ঘুরি ফিরি আর করি না ভয়
ইচ্ছে হলে গাই ছেড়ে গান শৃঙ্খলিত নয়।


নদী এখন ইচ্ছে মত কল কলিয়ে চলে
ঢেউয়ের তালে দুলে দুলে এমনি করে বলে,
বাবার কথা পরলে মনে মেঘেরা দেয় ঢল
শুণ্য এবুক ভরিয়ে দিল মায়ের চোখের জল।


পূবাল হাওয়া এমনি করে শনশনিয়ে বয়
ধানের শীষে মিষ্টি হেসে হাত বাড়িয়ে কয়,
তোর মায়ের ঋন শোধিবো আমরা কেমন করে
আমরা সবে তোদের তরে দিলাম দুহাত ভরে।


দূর দিগন্তের সূর্যটা ঐ মিষ্টি হেসে বলে
তোর মায়েরি শত ত্যাগে দোয়েল পাখা মেলে,
মায়ের পায়ের আলতা দিয়ে পলাশ লাল হয়
মুক্ত স্বাধীন স্বদেশ আমার ত্যাগের চেতনায়।


স্মৃতির মিনার ডাকদিয়ে কয় শোনরে খোকন শোন
তোর বাবা মোর বুকে আছে থাকবে অনুক্ষন ,
মায়ের গায়ের লাল শাড়িটা উড়ছে পতাকায়
তাইতো মা আজ সাদা শাড়ি গায়েতে পিন্দায়।


×××××××××××××××××××
২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস
উপলক্ষে সবাইকে জানাই রক্তিম শুভেচ্ছা
×××××××××××××××××××


স্বাধীনতার ঘোষণায় বিতর্ক কেন


পাকিস্থানীদের নির্দেশে সোয়াত জাহাজ নামক একটি জাহাজের অস্ত্র খালাসের জন্য জিয়া চট্রগ্রামে আসেন খবর পেয়ে তৎকালনি ক্যাপ্টেন অলি তাঁকে ফিরিয়ে আনার জন্য অফিসার চৌধুরী খালেকুজামানকে পাঠান। ২৬ মার্চ সারাদিনই শহরের আনাচে কানাচে মাইকে মাইকে ২৫ মার্চ রাতে প্রেরিত বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচার করা হয়েছে। সেই সময় আওয়ামী লীগ নেতারা বেতারে একটি ঘোষণা দিতে লোক খুজে বেড়াচ্ছিল । চট্রগ্রাম বিদ্রহোর নায়ক মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলামকে আহবান করা হয় শেখ মুজিবের পক্ষ থেকে স্বাধিনতার ঘোষণা দেবার জন্য কিন্তু তিনি তা দিতে যুদ্ধের মাঠ ছেড়ে বেতার কেন্দ্রে যেতে রাজি হননি। পরে খালেকুজ্জামানের অনুরোধে জিয়াউর রহমান ঘোষণা দেন । ২৭ মার্চ রাতে আওয়ামী লীগের এক বর্ষীয়ান নেতা ভিষণ ভাবে রেগে উত্তেজিত হয়ে টেলিফোনে রফিকুল ইসলামকে বললেন “হু ইজ মেজর জিয়াউর রহমান? সে বেতার কেন্দ্রে থেকে নিজেকে হেড অব দ্যা ষ্টেট ডিক্লেয়ার করেছে। তার এই ঘোষণা কেউ মানবে না, আর সে কে নিজেকে হেড অব দ্য ষ্টেট ডিক্লেয়ার করার? বঙ্গবন্ধুর নামে ঘোষণা দিতে হবে” রফিকুল ইসলাম বললেন “তিনি হয়তো ভুল করেছেন, আপনারা একটা ড্রাফট করে দেন, উনি সেটাই পড়বেন” পরে জিয়াউর রহমান ও বুঝতে পারেন তিনি ভুল করেছেন । তিনি দ্বিতীয়বার আওয়ামী লীগ নেতাদের ঢ্রাফট অনুযায়ী বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। সেটাই ২৮ মার্চ থেকে প্রতিদিন বাজানো হত।


Major Zia, Provisional Commander-in-chief of the Bangladesh Liberation Army, hereby proclaims, on behalf of sheikh Mujibur Rahman, the independence of Bangladesh. I also declare, We have already fomed a sovereign legal Government under Sheikh Mujobur Rahman Which pledges to function as per law and the constiution. The new democratic Government is committed to a policy of non-alignment in international relaipons. It will seek friendship with all nations and strive for international peace. I appeal to all Government to mobilise public opinion in their respective countries against the brutal genocide in Bangladesh. The Government under sheikh mujibur Rahman is Sovereign legal Government of Bangladesh and is entitled to recognition from all democratic nations of the world.”