সদা চন্দন গন্ধ মাটির
হেথা অমৃত ভরা জলে।
অবারিত মাঠ সবুজে
ভরে আছে ফুলে ফসলে।
তরু ঘেরা হাজারো গ্রাম
ছন মাটি সুখের নীড়ে।
মানুষ মানুষে এতো প্রেম
কোথাও খুঁজে পাবে কিরে?
সোনা রোদ ঘাসের শিশির
এ অপরূপ বিশ্বজোড়া।
রোজকার রাঙা প্রভাত
আনকোরা মনোহরা।
কুঞ্জে কুঞ্জে কুসুমের হাট
গন্ধবহ বহে সুরভি।
গুনগুন গুঞ্জরণে
ভ্রমর অলি প্রজাপতি।
বেলাশেষে বেনুবনে
ফিরে পাখিদের ভীড়।
ডালে বসে তার স্বরে
কত গান কিচিরমিচির।
সন্ধ্যা হলে তুলসী তলে
জ্বলে বিধু রাতের প্রদীপ।
বাশঁঝাড়ে আলোর সজ্জা
জোনাকির করে ঝিকমিক।
প্রহরে প্রহরে হুতুমপেঁচার
শুনি ভুতুড়ে ডাক।
অদূরে জঙ্গলে তোলে
শিয়াল হুক্কা হুয়া হাঁক।
গোচরে অগোচরে যত
আছে বাংলা মায়ের ধন।
আলো মরুৎ জলে ফুলে ফলে
স্বর্গ শোভায় ঘেরা গৃহকোণ।
মরণ এলে মাটির বুকে
শান্তিতে যাব ঘুম।
মাটির ঘরে মাটির আদরে
লতাপাতা জড়ানো উম।
দেহঘড়ির হিসেব করি
যতদিন আছে দম।
এখানে আমি সুখে অসুখে
থাকব শতজনম।