একদিন তুমি শুধুই আমার বাবা ছিলে
আজ আমিও তোমার বাবার মতোন
                      তাই মাঝেমধ্যে রাগি—
এ তো পৃত্বিস্নেহ— একদিন তুমিও এমন রেগে যেতে
তারপর স্নেহ ঢেলে ঢেলে মুছে ফেলতে সব অভিমান।
পৃথিবী প্রতিশোধের সুফলা জমিন!
মনে আছে বাবা— সেইদিন; যেদিন মা আর আমি
প্রবল জ্বরের ঘোরে শুধু ছটফট করেছিলাম—
তুমি আমাকে বুকের মধ্যে চেপে মেঝের সমস্ত জমি
চষে চষে রুয়েছিলে স্নেহের সরস বীজ—
                          রাত্রির সমস্ত আঁধার আজও দোলায় সেই ফসল।
এমন যে কত দিন গেছে কৈশোরে শৈশবে
                         হাসি-দুঃখের পালাবদলে—
সূর্যের মতন এখনো সতেজ— ঈদ-পূজা আনন্দের আয়োজনে
নতুন নতুন শার্ট-প্যান্ট-ঘড়ি-বাঁশি-জুতো আরো কত যে কী!
ফুটাতে আমার মুখে হাসি; আমার সে যত প্রয়োজন
রক্ত ঝরায়ে ঘামের দামে তুমি করতে আয়োজন।
                          আজ তুমি বাবা শিশুর মতন
তোমার রক্তের ঘামের দামের সেই নতুন পেরন
একগাল হাসি ফুটাতে— আজ আমার এ হৃদয়ের সমস্ত বাসনা
তোমর পৃত্বিস্নেহের দরিয়ায় আনন্দঢেউ ফলাতে—
পৃথিবীর ঋণ পৃীথবীতে হোক শোধ!
তুমি পিতা— আমি স্নেহের নন্দিত ধন
সুরক্ষিত বাহুডোর তোমার, আমার নিশ্চিত আবাসন
পিতার পুত্র, পুত্রের পিতা— সময়ের আয়োজনে
পালাবদল। নন্দিত পৃথিবীর মহা প্রয়োজন।