কোথাও আভাব নেই—
তবুও দেখছি শরৎবাবুর গফুর আর আমিনা দাঁড়িয়ে আছে বাড়ির আঙ্গিনায়!


এমন তো কথা ছিলো না; এ পৃথিবীতে আমাদের।
আমরা অভাব তাড়ায়ে পড়েছি সভ্যপোশাক
হৃদয়ের খাতা থেকে মুছে দিছি শোক-শ্লোক, সাম্প্রদায়িকতা।
তবু কেন ফিরেছে শরৎবাবুর গফুর আমিনা!
বলুন তো, গফুর-আমিনাকে কেমন করে মেনে নেই
কেমন করে কলঙ্ক মাখি নিজ পোশাকের সাঁজে!
      এর কোন মানে নেই—
সেকথা এখনো বোঝে না নির্বোধ গফরা—
সে মহেশ নামের জন্তুর কথা বাদ দিয়ে
এখন নিজের জন্য খাদ্য চায়— কী বেকুব বেটা!
পৃথিবী কি আর এখন খাবার চাওয়াচাওয়ির যুগের আছে?!
এতো বছরেও ও জানলো না— করুণ চোখে তাকাতে হয়না
ওসবের নেই কোন মানে!


সব তো যোগ্যতমের হবে এটা না বোঝার কি আছে।
অভাগাদের এ পৃথিবী না— খামোখা যন্ত্রণা কেন দেবে?
বলুন তো শরৎবাবু, একথা কবে বুঝবে আপনার গফুর-আমিনা?