প্রগৈতিহাসিক পথে চলছি সেই জন্ম থেকে
শ্বাপদ—সংকুল এই অবিরাম পথচলা
মানুষের মুখোশে ঢেকে আছে সব মানুষের দেহ
মুখোশের অন্তরালে মগজ—মজ্জায় আদিম জন্তুর হাট
সেই হাটে উলঙ্গ জানোয়ারের দাঁতাল—সর্বস্ব হিংস্রতা
ডাইনোসারের তাড়ায় নেংটি ইঁদুরের ত্রস্ততা
রাক্ষস—খোক্কসের মুখে আহা কী উলঙ্গ নীতিকথা!
জ্ঞান পাড়া ও গণিকা পাড়ায় সমান ক্ষুধা সমান গর্জন
সমাজ, নীতি, শাস্ত্র—বিধান; যেন একেক পচা ড্রেন
ওখান থেকে নোংড়া কীটেরা ছড়ায় আদিম জন্তুর হাটে
উত্তাল ঢেউয়ে বিপর্যস্ত শান্ত সুশীতল প্রস্রবণ
ঈপ্সিত নির্ভরতার আশ্রমে হায়েনার কালো আস্তানা
মুখোশহীন খাঁটি মুখগুলো রক্তক্ষরণে বিক্ষত ক্রমাগত
আমি শুধু চলি সঙ্গীহীন, নিরুপায়, বিপর্যস্ত..
তৃতীয়—বিশ্বে প্রথম শ্রেণীর মানুষের জন্ম নেওয়া
কী যে যন্ত্রণা, হায়..!