আর মাত্র কিছুক্ষণ পর
ম্লান হয়ে যাবে এই পূর্ণশশী-কর।
সঙ্গে নিয়ে যাবে তার হাতে শাঁখা, প্রবালবলয় আর সিঁথিভরা সিঁদুরের দাগ,
দু' পা'র অলক্তরাগ।


তার সে সরল মনে বিন্দুমাত্র ছিল না চাতুরি
স্বামী-পুত্র-পুত্রবধূ-পৌত্রীদের ঘিরে ছিল তার জারিজুরি।
সে ছিল সামান্যা নারী, সংসারান্ত-প্রাণ।
তাকে নিতে কোনও দেবযান
স্বর্গ থেকে নেমে আসবে না।
ক্ষতি নেই না এলেও কোনও দৈবরথ,
কৃতিদীপ্তা, সে হাঁটবে একাকিনী পথ
মুছে দিয়ে এ পার্থিব সব জানাশোনা, সব চেনা।


ছত্রিশ বছর আগে
তার সঙ্গে দেখা হয় এক অস্তরাগে।
সে তখন ষোড়শী কিশোরী
একসঙ্গে অগ্নিসাক্ষী, সপ্তপদী করে
একদিন তার হাত ধরি।
লক্ষ্যহীন যুবকজীবনে ওই উজ্জ্বল ঊষশী
অভাবী সংসারে এসে শক্ত হাতে ধরেছিল রশি।
সমুদ্রে তরঙ্গ ছিল, ভূমিকম্প, জলোচ্ছ্বাস, প্রবল সুনামি --
সে সব তাচ্ছিল্য করে, জানে অন্তর্যামী,
আমার সংসারলক্ষ্মী চূর্ণ কিছু যশ-খ্যাতি প্রাপ্তির ওপারে,
আমাকে নামিয়ে


একা ওই চলে যায় বহু কষ্ট নিয়ে...