বৈশাখ জ্যৈষ্ঠ, উত্তপ্ত আকাশের পানে চেয়ে দেখি,
শৈশবের স্মৃতি জ্বলন্ত রোদ্দুরে, খুঁজছে এক স্থায়ী মেঘের নিচে স্বস্তির আশ্রয়,
বৈশাখ জ্যৈষ্ঠ, সন্ধ্যা থেকে রাত অবধি, সেই আকাশের পানে চেয়ে রয়ে দেখি,
বসন্তের স্নিগ্ধ বাতাস মাখা আঁধার, সেই দগ্ধ স্মৃতির সাথে করে পরিচয়।


আষাঢ় শ্রাবণ, নেশাধূর চোখে, আকাশের দিকে চেয়ে রয়ে জীবনযাপন,
বৃষ্টি পড়ে যখন, অশ্রু ঝরিয়ে আনন্দ তখন,
আষাঢ় শ্রাবণ, নেশাধূর চোখে, বর্ষায় বেওয়ারিশ এক ছন্নছাড়া মুক্তি সাধন,
বর্ষামুখর রজনীর ইঙ্গিত, নিস্তব্ধতায় কাদা মেখে চিৎকার করে ওঠে এই মন।


ভাদ্র আশ্বিন, এই অনন্ত আকাশ, আমায় ডেকে বলে - 'আমার দিকে তাকা',
নয়ন মেলে দেখি, সে এক চিত্রশিল্পীর ক্যানভাস, যেখানে লাল, গোলাপী আর পলা রঙ দিয়ে, কোন এক নগ্ন রমণীর ছবি আঁকা,
ভাদ্র আশ্বিন, এই অনন্ত আকাশ আমায়, ঝরে যাওয়া গাছের পাতা উড়তে দেখায়,
শরৎ হয়ত কিছুটা হলেও, ব্যবহারের পথযাত্রায় রূপান্তর ঘটায়।


কার্তিক অগ্রহায়ণ, শিশির ভেজা ঘাসের ওপর শুয়ে, স্বভাবের দোষে সারাদিন, চেয়ে রই আকাশের পানে,
অনুভব হয় সন্ধ্যার বাতাসে স্নিগ্ধতা বেড়েছে, হয়তো হেমন্তের আহ্বানে,
শীতকালের শরীর খারাপ, এখানেই শুয়ে দেখবো আকাশে ভাসছে কত শত কালো গোলাপ,
তারা গুনবো চাঁদের আলোয়, মাতাল হয়ে, ধান ক্ষেতে শুয়ে এক কোণে।


পৌষ মাঘ, গাড় কুয়াশায় খুব নেশায়, এবার আকাশে উড়বো আমি,
বিশৃঙ্খল নিশির গগনভেদী চন্ডাল, নির্মম প্রভাতের অন্তর্যামী,
শীতকাল জুড়ে সূর্যাস্তের আকাশ, যেন সাপের কামড় মাখা নীলে মিশ্রিত রক্তের লাল,
ভিনদেশী পাখিদের সফর সার্থক, গঙ্গার ঘাটে বসে আমি, ওই আকাশে উড়ছে মোর খোশ খেয়াল।


ফাল্গুন চৈত্র, উন্মুক্ত আকাশের দিকে চেয়ে রয়ে, ফুরোলো প্রতিটি ঋতু পেরিয়ে এক বর্ষ,
আবেগের ফুল ফোটা বাগান থেকে কোকিলের ডাক, আমার হৃদয় করে স্পর্শ,
বসন্তের সুবাসিত বাতাস মেঘেদের সাথে, খেলে বেড়ায় খামখেয়ালি মেজাজে,
বাসন্তী উৎসব, দোল যাত্রা, শিমুল, পলাশ, কৃষ্ণচূড়া, আমার নয়ন বদ্ধ সেই মহাকাশের মাঝে।


নিজের ডাকে নিজেই চুপ ছিলাম যেদিন,
প্রথমবার আকাশের দিকে ঠিক করে চেয়েছিলাম সেদিন।।