ছেলেটা না ভীষণ অন্য রকম,
ফুঁপিয়ে কাঁদে, মুখ চেপে হাসে।
জেদ নেই আছে আত্মসন্মান,
এতোটুকুন বয়সেই জানতে চায় জগতটা।  
ন্যায় অন্যায় বোঝে সে কতকটা,
নিত্য দিনের ঘটে যাওয়া কার্যকারণে-
হাজারও প্রশ্নের বাণে বাচাল কাকাতুয়া,
উৎসুক চাহনিতে শুধু কেনো আর কেনো।


ছেলেটি ভদ্র বিনয়ী আর লাজুক,
ভয় পায়, দূরে দূরে সরে থাকে,
ভয় গুলো লুকিয়ে মায়ের আঁচলে
আমায় বিব্রত করে উচ্চস্বরে হাসে।  
হাসিটা তার চমৎকার,
মুক্ত ঝরে, মুক্তি দেয় জরাজীর্ণতার
ক্লান্তি অবসাদ আর গ্লানির,
প্রানের হাসি যোগায় জীবনের রসদ।


ছেলেটি আমার থেকে কিছুটা অন্যরকম
কিছুটা অভিন্ন স্বভাব সহজাত ভঙ্গিমায়-
চেয়ারে হেলান দেয় বাবার মত করে
দৃষ্টি বিনিময়ে লাজুক লাজুক হাসি।
ছেলেটি বড় হতে থাকে পিতৃ ছায়ায়
আদর সোহাগ আর ভালবাসায়,
তবুও ছাড়িয়ে নিতে চায়
লুকায় মায়ের আঁচলে,
হয়তো আমিও হতে চেয়েছিলাম এরকম।