নিখিলেশ যখন বেশ্যাপাড়ায় দিয়ে ছিল হানা,
অনেক কিছুই ছিলনা তার তেমন করে জানা।
ইন্তি বিন্তি আরও কত ছিল নামের বাহার,  
সামনে পেলেই শার্টের হাতা ধরত টেনে তাহার।    


যদিও তাহার, ছিলনা কোন দেহ ভোগের ধান্দা,
তবে কেন? কিসের জন্য পড়ল এমন বান্ধা?  
সেই কাহিনী জানতে তুমি, শুনতে যদি চাও,
চল তবে আমার সাথে মাধবপুরের গাঁও।


যখন তাহার বয়স ছিল উনিশ কিংবা কুড়ি,
তখন প্রেমের সাথী ছিল বেনু নামের ছুড়ি,
পাড়ার সবাই বলত তাদের জুটি কৃষ্ণ রাঁধা,
বাড়ির লোকের কাছেও কোন ছিলনাতো বাধা।


শুভ দিনে যখন তারা বাঁধল সুখের ঘর,
মনের মাঝে জাগল বুঝি প্রেমের নতুন চর।
সেই চরেতে বুনল তারা ভবিষ্যৎ এর দানা,
অলুক্ষুনে  কাল বৈশাখী দিল তাতে হানা।    


যেদিন রাতে ফিরতে বাড়ি হয়েছিল দেরি,
হায়না এসে বেনুবালার সব যে নিল কাড়ি।
তাইতো বেনুর নষ্ট হল ভবিষ্যৎ এর দানা,
কলঙ্কিনীর এই সমাজে মুখ দেখাতে মানা।


সব হারিয়ে বেনু যখন হল পাগল প্রায়,
গাঁয়ের মাঝে কেউ তাহাকে খুঁজে যেনা পায়।  
বেনুর শোকে নিখিল তখন হল দিশেহারা,
টুঁটি চেপে ধরল তাদের করল এমন যারা।


তাইত নিখিল রইল পরে বছরখানেক জেলে,
বেনুকে সে খুঁজতে যাবে যেদিন ছাড়া মেলে।  
বেনুর তখন করুন দশা দালালের হাতে পড়ে,
এখন সে যে বেশ্যাপাড়ায় খদ্দেরের হাতে ঘোরে।    


যে দিন থেকে নিখিল তবে পেয়েছিল ছাড়া,
সে দিন থেকে ঠিকানা তার সকল বেশ্যাপাড়া।
মনে মনে পণ করিল যেদিন খুঁজে পাবে,  
বেনুকে নিয়ে মাধবপুরের আরনা ফিরে যাবে।


তাইত নিখিল বেশ্যাপাড়ায় খোঁজে না ফুলের রেনু,
তাহার মনের মাঝে শুধু রইল পড়ে বেনু।
একদিন এক বেশ্যা যখন দাঁড়ায় বক্ষ খুলে,  
শার্টের হাতা টেনে তাকে নিল ঘরে তুলে।


এযে দেখি কেউ নয়তো, তাহার প্রিয় বেনু,  
হায় ভগবান শেষ পর্যন্ত হইল ফুলের রেনু?
হাজার বারে সাধলেও সে হইল নাতো রাজি,
বেনু বিনে এই সংসার কেমনে তবে সাজি?


সব হারিয়ে নিখিল যখন রাস্তার মাথায় দাঁড়ায়,
মনের মাঝে ঝড় উঠলে বাড়ির পথ না মাড়ায়।
সেদিন থেকে দেয় যে শুধু বেশ্যা পাড়ায় হানা,
তখন সে যে বড় মাস্তান, কেউ করে না মানা।