তোমার ভেজা ঠোঁটের  হালকা স্পর্শ
যখন রাখো আমার শরীরে
পূর্ণতা পায় পুরুষত্ব
তোমার ভিজে চুলের  ছিটকে আসা জল আনে
শান্তির বারিধারা আমার অশান্ত মনে
আমি জানুভাঙি, প্রসারিত করি তৃষ্ণার্ত হাত
ভারাক্রান্ত নতদেহ আর অনুচ্চারিত প্রশ্নসামগ্রী
ঘরে ফেরার ডাক আসে তবু ফেরা হয় না ঘরে
তোমায় দিয়ে শূন্যতাকে সম্পূর্ণতা পাই


তুমি যখন বুকে রাখো হাত
খোলা চুলে বন্যা ঢেলে দাও
পরিপূর্ণতা পায় পুরুষত্ব
তোমার চোখের কাজল আর
কোমল ঠোঁটে অস্তরাগ
শরীর আমার হিমেল হাওয়ায়
কঠিন বরফ হয়ে ওঠে


তুমি যখন পল্লবিত চোখ রাখো আমার চোখে  
তোমার শরীর জুড়ে প্রবল ঝড়
আমি শুকনো পাতার মতো প্রচন্ড দাবানলে
ছেঁড়া পাল হাতে ধরে তবু
কান্না চেপে ভালোবেসে যাই


সাদা ক্যানভাসে তুলির আঁচড় কাটি নিঝুম অন্ধকারে
সবটুকু প্রেম ঢেলে তোমার প্রতিকৃতি আঁকতে চাই
স্বপ্নের পারিজাত থেকে নেমে  আসা এক প্রতিমূর্তি  
অপরিচিত দ্বৈরথে আমায় টেনে নিয়ে যায়
চোখের কোনে অশ্রুসিক্ত রক্তবিন্দু নিয়ে
অসীম শূন্যতায় আজও তোমায় খুঁজে পাই