আমার মাথার মধ্যে আমি
নিজের সাথে বাঘবন্দী খেলি
ক্ষুধার্ত শ্বাপদ দাঁত আর নখ বের কোরে
ছিঁড়ে টুকরো করতে চায় হরিণ শাবক।
ভোর রাতে ঘুম ভেঙে উঠি
মনের মধ্যে কুন্ডলী পাকানো চিন্তা
নিজেকে একটু একটু কোরে জুড়ি
সাদাকালো পুরোনো ছবির কোলাজ।
অচেনা নদীর ঘাটে আমি  একা
বেসামাল স্রোত ঢেউ ভাঙে পায়ের কাছে
কুয়াশা জমাট বেঁধে আকার পেতে চায়
নিরাবয়ব ঈশ্বরের জন্য পূজোর আয়োজন।
ধর্মতলার মোড়ে রাজনৈতিক চীৎকার
আমার মধ্যে তবু নেই প্রতীবাদের ভাষা
একমুঠো গরম ভাতের জন্য কি ভীষণ আর্তি
নিজের অস্থি পুড়িয়ে  রান্নার  জোগাড়
না খাওয়া মুখগুলোর লেলিহান চাউনি
নিয়তির হাতে নিষ্চেষ্ট আত্মসমর্পণ
ক্রমাগত নির্যাতনে বিকৃত হয় পৃথিবী
পোকা বাছা মৌনতায় তবুও জীবনযাপন  
খুব সঙ্গত কারণে মনে হয় স্বেচ্ছাচারী হই
গলার কাছে হৃৎপিণ্ডের  প্রতিধ্বনি শুনি
সম্পূর্ণ সততার  মোড়োকে সামাজিক অভিসন্ধি
সুজটিল চারুশিল্পে পরিমার্জিত হয়
তৃপ্ত গিরিখাত বেয়ে আবেগের ধারা
এক নির্জন বীথিকায় আমায় টেনে নিয়ে যায়।