রক্তে যৌবনের পদধ্বণি  শুনি বক্রীম
বুনো ঘোড়ার কেশরে সোনালী উদ্দামতার ছাপ
ফ্যাকাশে সভ্যতার গা বেয়ে ঝরে পড়ে
হৃৎপিণ্ডে জমে থাকা তরল অন্ধকার


                   ২
সেকেন্ড মিনিট ঘন্টার নিখুঁত হিসেবে ঘড়ির কাঁটা এগিয়ে চলে
প্রদীপ্ত আঘাতে ছিন্নভিন্ন হয় সময়ের বিষাক্ত শরীর
বুড়ো ঘোড়ার জীর্ণ কঙ্কালের পাশে
চোখে পড়ে ভস্মের টুকরো কয়েকটা এখানে ওখানে


                    ৩
ক্ষুদার্ত পাখির তীক্ষ্ণ ঠোঁট
ধীরে ধীরে নেমে আসে শবের মুখে
ঝোড়ো হাওয়ায় উড়ে যায় অচেনা পাখির পালক
দুরন্ত গতিলতায় আকাশের চোখে


                    ৪
তোমার চোখে চোখ রেখে জিজ্ঞেস করিনি
কেমন আছো? কেমন আছি আমি বলিনি তাও!
চোখের ভাষা পড়েছি শুধু চোখের পাতায়,
মুখের বুলি হারিয়ে গেছে হৃদয় নদীর পাড়ে