নিশিত খঞ্জরের সুতীব্র ছোবল
সুপটু ঠোঁটের কোণে —
বড় বিপজ্জনক খেলা
শিশির ভেজা ঘাসে পা ডুবিয়ে
রোদ চুপিচুপি এসে দাঁড়ায়
কৃষ্ণচূড়ার ডালে, ফাগুনের হাওয়া
শিরশিরে প্রলোভন ছড়ায় মনে
বুড়িয়ে যাওয়া  নদীর ভাঙ্গা ঘাটে
সবুজ রঙের আবেগ আর আকুলতা
নিয়ে, কেউ আর হাতছানি  দিয়ে  বলে না
একটিবার এসে ভেজো এই অমলিন বৃষ্টিতে।


অব্যবহৃত যৌবন যখন আত্মসমর্পিত
বৈধব্যের ধূসরতায়—
কার কাছে গচ্ছিত  রেখে যাবো
এই উপেক্ষিত  জীবন !
খোলা হাওয়ায় আটকে থাকা ঘুড়ি
শাপিত জিভ বের করে ভেংচি কাটে।


বয়ঃসন্ধির স্বপ্ন লাট খায় অবচেতন ঘুমে
কাঁচা হাতের প্রেমনিষ্ঠ চিঠিতে জমাট বাদামী ধুলো
পেলব আঙুলের মাদকতায় জড়িয়ে যায় হাত
সেলফোনের আলোয় দেখা মায়াবী মুখ
সব অভিব্যক্তি জট পাকিয়ে যায়,
চূড়ান্ত সংঘাতের মধ্যরাতে—
তবু ভালো থেকো অরক্ষিত হাতছানি,
নিশিত খঞ্জরের সুতীব্র ছোবল আর
সুপটু অস্থিতিশীল ঠোঁটের কামড় বাঁচিয়ে।