তোমার মুখের দিকে একবার, শুধু একবার তাকিয়েই আমার আর ফেরা হলো না!
কেমন বলবো?- ঐ স্বর্গের দেবী বা অপ্সরী বা জলপরীদের মুখের মতন তোমার মুখের গড়ন।
তোমার দুই চোখের কাজল, নরম দুই পাতলা গোলাপী ঠোঁট, টানা টানা দুই ভুরু, সেই ভ্রুদ্বয়ের মাঝে লাল টিপ, দুধে আলতা গালের রঙ, নাকে ছোট্ট সোনালী নাকছবি, গভীর রাতের মত ঘন কালো চুল আর দুই কান থেকে ঝোলা দুই রূপালী ঝুমকো দুল আমায় গ্ৰাস করলো একেবারে-
আমার গোটা দেহটাই তোমার দেহে প্রবেশ করলো!


তবে, এতে আমার এতটুকুও দুঃখ নেই।
আমি যে কত খুশি হয়েছি তার ব্যাখ্যা কি এই সামান্য কবিতা লিখে বোঝানো যাবে?
এই বিশ্ব ব্রম্ভান্ডের যেমন কোনো শেষ নেই
আমার খুশির পরিমাণও ঠিক তেমনই।
আমার যে কত লাভ হয়েছে
তার হিসাব কি অঙ্কের কোনো জটিল সূত্র দিয়ে সমাধান করা যাবে?
কেবলমাত্র ঈশ্বরের দ্বারাই তা উদ্ধার করা সম্ভব।


আমি জীবনে কী পেয়েছি কী হারিয়েছি
তা সবই তুচ্ছ হয়ে গেল শুধু ঐ একবার তোমার মুখের দিকে তাকিয়ে।
এক নিমেষের মধ্যে বোমা বিস্ফোরণের ফলে সবকিছু যেমন ধ্বংস হয়ে যায় আমার অবস্থাও তেমন হলো!
আমি পেলাম জীবনের সেরা উপহার।
এবার থেকে একেবারে তোমার সঙ্গেই থেকে গেলাম,
তোমার রক্তে চামড়ায় শিরা উপশিরায় মিশে একাকার হয়ে গেলাম;
তোমাকে আর হারাবার ভয় থাকবে না,
তুমি যেখানে যাবে আমি সেখানে যাব,
তুমি যা খাবে আমি তাই খাব,
তুমি দুঃখ কষ্ট পেলে আমি একই দুঃখ কষ্ট পাব,
তুমি কোথাও আঘাত পেলে আমি সমানভাবে আঘাত পাবো,
যেদিন সৃষ্টিকর্তা ডাক দেবেন সেদিন একসাথে চলে যাব!


--- অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী
২২/০৯/২০২৩
বারুইপুর