আমি পূর্ণিমার চাঁদ কে কবিতার পঙক্তিতে বন্দী করেছি-শুধু তুমি অন্ধকার কে পাও বলে।
বিধাতাকে বলেছি আকাশগঙ্গা কে নিজের মতো সাজাতে
শুধু তুমি দুঃখ পেলে একা বসে নক্ষত্র দেখো বলে।
কতবার আমি সরল মেঘ হয়ে,
তোমার কপাল ছুঁয়ে নেমে এসেছে মাটিতে...
হ্যাঁ,শুধু তুমি বৃষ্টি পড়লে জানলায় হাত বাড়াও বলে।
কতবার তোমাকে লাজুক ভাবে দেখেছি।
কতবার তোমায় আলতো স্পর্শ করেছি।
তুমি তা জানো না...
আমি শুধু তোমায় দূর থেকে ভালোবেসেছি।
আমি তোমার জন্য বে-ঋতুর ফুল হবো।
শুধু তুমি নুপুর ভেজা পায়ে গোলাপ ঠোঁটে ছোঁয়াও বলে।
তোমাকে একবার চোখের দেখা দেখার জন্য পাড়ার মোড়ের সবার তাচ্ছিল্যের বখাটে ছেলে হয়েছি।
আমি শুধু তোমায় দূর থেকে ভালোবেসেছি।
পুরনো খাতার মলাটে কতবার যে তোমার নাম লিখে ছড়িয়ে দিয়েছি আকাশে।
কালপুরুষ হয়ে জ্যোৎস্নার মতো কতবার নিজেকে পুড়িয়েছি-শুধু তোমার জন্য।
তোমার জন্য রাত জেগে কবিতা লিখবো বলে,
অভিধানের শহরে কালপেঁচা হয়ে শব্দ খুঁজেছি।
আমি শুধু তোমায় দূর থেকে ভালোবেসেছি।
তোমাকে পাবার জন্য কতবার ব্যারিকেড ভেঙে দাঁড়িয়েছি সম্মুখে- শুধু একটি চাকরির তাগিদে।
আমি জানি,খালি পেটে কাঁদা যায়,
খালি পেটে হাসা যায়,
শুধু খালি পেটে ভালোবাসা যায় না।
তোমার জন্য অগ্নিবীণার বিদ্রোহ কলমে বুনতে পেরেছি।
তোমার জন্য রবীন্দ্রনাথকে জেনেছি...
তোমার জন্য কপালকুণ্ডলা পড়েছি...
আর,শুধু তোমার জন্য সাহিত্যকে বুঝেছি।
আমি শুধু তোমায় দূর থেকে ভালোবেসেছি।
তুমি শান্ত আবহাওয়া ভালোবাসো বলে -আমি পায়রা হয়ে তোমার ঘরের
কার্নিশে বাসা বেঁধেছি।
মোগল যুগের চারবাগ থেকে তুলে
এনেছি-অলকানন্দা...শুধু তোমার জন্য।
তুমি বৃষ্টির দিনে একলা ঘরে রহস্য কাহিনী শুনো বলে-আমিও ব্যোমকেশবক্সী দেখেছি,ফেলুদা শুনেছি।
আর আমি নিজে,শুধু তোমার জন্য বঙ্কুবাবু লিখেছি।
আমি শুধু তোমায় দূর থেকে ভালোবেসেছি।