স্মৃতির শহরে কত পুরনো প্রেম রয়েছে পড়ে চাপা।
সময় পেরোলে তা যাইরে ভোলা সেই গোলাপ গোঞ্জা খোঁপা।
ভোরের শহরের চিলতে রোদে খিদের চোটে তোর ডাকত পেট
ফুটপাতেতে দু-পেহালা চা আর আমার ঠোঁটে চার্মিনার সিগারেট।


আগে পুরনো আঁচের বর্ণমালা আসতো ন্যাপথলিন মোড়া খামে।
গোধূলিতে উড়তাম দুজন এদিকওদিক শিল্পযুগের নৌকো ট্রামে।


সবুজ পাতার ঘামের গন্ধে আমার বুকে তোর কাটতো রাত।
মনে পড়লে আমায় তোর দরজায় আসে বাসন্তীমরণ বজ্রাঘাত।


কাক ভোরেতে দেখতে তোকে হাতের মধ্যে নিতাম প্রাণ।
সেই তুই কিনা আমার জন্য জমিয়ে রাখলি অভিমান।


শুনশান পাড়ায় কাটছে বছর,কাটছে দিন,কাটছে কত শনিবার।
তোর একবারও কি কথা মনে পড়ে না সেই নীল ছাপা শাড়িটার।


যদি আসিস গোলদিঘিতে গল্প বলব এক উড়নচন্ডী,বাউন্ডুলের।
সেই দূর শহরের গন্ধ আসে তোর ঈষদুষ্ণ ভেজা চুলের।


স্মৃতির আঁচলে ঘুণ ধরেছে তাকে ঝাপটে আছে মাকড়সার জাল।
তোর বন্দর সম্মুখে তবু হবে না দেখা আগামীকাল।


তুই শুধু একবার বল লাবণ্য চোখে যে আমার সাথে ঘুরতে যাবি।
ফাগুনের অঞ্জলিতে পরবো তোর দেওয়া সেই পাঞ্জাবি।


কিন্তু,তুই সন্ধ্যাতারার মেঠো পথে হঠাৎ থেমে বললি-আসি
কই.?হাতটা ধরে বললি-না তো শুধু তোকেই ভালোবাসি!