পাষাণ
  (ডিজিটাল কবি)
ওরে ও পাষাণ পাথর!
তব মন যায়না গলান
   যায়না শাসান;
   রুদ্ধ গড়ান।


চোখে তোর শিকল বাঁধা
মনে তোর মাখা কাদা;
     কি করে
   দেখবি সাদা
    সাজিয়া
   বাবার বাবা
   দাদার দাদা।


ওরে ও লোহার শিকল!
তালা তোর যায়না খোলা;
    হল বিকল;
    চির অচল।


    কি করে
মন-পাখি তোর
যাবে যে ভোঁর,
ভাঙ্গবে দেয়াল।


ওরে ও নীরব শ্মশান!
    ঘাটে তোর
   সব অবসান;
  ভুতের বাগান।


    কি করে
   ভাঙ্গবি প্রথা,
   ধুসর যেথা;
কালোয় ভাসান।


     কি করে
    দিবি ভাষা
  বাঁচার আশা;
কড়াল প্রতান!


করিয়া হাজারো স্বাদ
গড়িয়া কালোর প্রসাদ;
লড়িয়া আলোর সাথে
   দিন সরিয়ে
  ঢাললিরে রাত।


যারে যা দূর হয়ে যা
    মূর্খ তাজা
   হ আবসান।
চোখেতে নেই
   কোন জ্বল
   কান্না প্রবল,
গান না গেয়ে
  সুরের ছল!


দাঁড়িয়ে শক্ত ও গাছ!
ক্ষুধিতের দীর্ঘশ্বাস;
দিলিনা মায়ার ছায়া
    নিম্ন-কায়া
  জালিম পরাণ।


ওরে! দ্যাখ দীপ্ত-শিখা
তিক্তক্ষনে বন্দি-ভুখা;
    করে দে  
   সিক্ত তারে
   মুক্ত করে
  পথের দ্যাখা।
(বরিশাল ০৫/১২/১২)