শারীরিক সম্পর্ক আর ভালোবাসা কখনও এক নয়।
শারীরিক সম্পর্ক নিতান্তই শরীরের প্রয়োজন ছাড়া আর কিছুই নয়।


শারীরিক সম্পর্ক থাকলেই যে ভালোবাসা থাকবে তা কিন্তু নয়।
শরীরের প্রতি আকর্ষন সব সময় সমান থাকে না।


শিশু কাল, যৌবন কাল, বৃদ্ধ কাল মিলে মানুষের জীবন।
এই তিন কালে শরীরের অবস্থানও তিন রকমের হয়।
শিশু কালে শরীর অপরিপক্ব থাকে।
এই সময়ে শিশু শরীরের প্রতি কারো আকর্ষন থাকে না।
কিন্তু এখন পশুকেও হার মানায়।


যৌবন কালে শরীরে পরিপক্বতা আসে।
মধুর টানে যেমন মৌমাছি আসে ঠিক তেমনি পরিপক্ব শরীরের টানে অনেকেই ঘুরাঘুরি করে।
এর ফলে কারো সাথে না কারো সম্পর্কের সূত্রপাত হয়।
এতে কিছু সম্পর্ক ধাবিত হয় ভালোবাসার দিকে আর বেশির ভাগ সম্পর্কই থেকে যায় শরীর কেন্দ্রিক।
একদিন শরীরের প্রতি আকর্ষন সাঙ্গ হয় আর শুরু হয় বিচ্ছেদের।


বাকি থাকে বৃদ্ধ কাল, যে কালে আছে শুধু ক্ষয় আর ক্ষয়।
এই শরীরের প্রতি কারো কোন আকর্ষন থাকে না।


প্রেম বা ভালোবাসারও সৃষ্টি হয় শরীরের প্রতি আকর্ষন থেকে।
কারন দুর থেকে কারো মন দেখা যায় না দেখা যায় শরীর।
প্রকৃত প্রেম শুরু হয় দুজনের কাছে আসার পরে।
তাদের কাছে শরীরে কোন মুল্য নেই।
তারা বিশ্বাস করে শরীরের মায়া সাময়িক।
দুজন অনন্ত কাল কাছে থাকতে হলে শরীরের আকর্ষনের উপরে উঠতে হবে।


প্রকৃত প্রেম সন্ধান সবাই করে না।
সবাই ক্ষনিকের মোহে মত্ত থাকে। তাই শারিরীক সম্পর্ক থাকলেই যে ভালোবাসা থাকবে সেটা সব সময় হয় না।