ইদানিং নিজেকে বড্ড সেকেলে মনে হয়।
একবিংশ শতাব্দীতে এসে এখনো যদি কেউ
তুমি একটু ছাদে আসবে বলে
একটা আস্ত বিকেল কাটিয়ে দেয় রাস্তার মোড়ে
সে তবে সেকেলে নয়তো কী?
সোশ্যাল মিডিয়ার এই যুগে
তোমাকে এক পলক দেখার আশায়
একটা যুবক যদি বুকে টেনে নেয় বিকেলের পুরোটা রোদ্দুর
তবে লোকে তাকে সেকেলে তো বলবেই।


বিকেলের স্নান শেষে স্নিগ্ধতা ছড়িয়ে তুমি যখন তোমার ছাদে আসো
তোমার প্রায় প্রাণহীন বাগান যেন ফিরে পায় প্রাণ।
অর্কিডের পাতাগুলো যেন ধন্য হয় তোমার সান্নিধ্যে
ঘুম থেকে জেগে ওঠে নুয়ে পড়া হাসনাহেনার ডাল
আমি অবাক হয়ে প্রেমমুগ্ধ অর্কিড আর হাসনাহেনা দেখি ।
ইতিউতি খেলা করা প্রজাপতিগুলো যখন
তোমায় দেখে প্রবল উচ্ছ্বাসে ছুটে যায় কাছে
কি দারুণ মায়ায় ছুঁয়ে যায় তোমার মেঘকালো চুল
আমি তখন নেশাগ্রস্ত প্রজাপতি দেখি ।
তোমার আমলকী কিংবা বাতাবীলেবুর গাছে
ঘর বোনা ছোট্ট টুনটুনি
সেও দেখো কি ভীষণ আনন্দে
ছুটে চলে ডাল থেকে ডালে।
আমি বিমুগ্ধ নয়নে পাখিদের নৃত্য দেখি।


তুমি কিভাবে প্রাণহীন বাগানে ছড়িয়ে দাও প্রাণ?
কিভাবে এত এত ভালোবাসা ধারণ করো তোমার বুকে?
অথচ এই আমাকে তুমি বিকেলের পোড়া রোদ্দুর ছাড়া কিছুই দিলে না।