নিস্তব্ধ রজনীর কোলাহল থমকে গেছে নগর জুড়ে,
নেই কোন ব্যাস্ততা -
নিশি তার অলস দেহ নুঁইয়ে দিয়েছে তিমিরের বাঁকে বাঁকে খুব গভীরভাবে -


শীতল দমকা হাওয়া বলছে বর্ষা ধারার হঠাৎ সমাগম হওয়ার কথা -
পশ্চিমের জানলাটা নিশ্চুপ হয়েই ঠাঁই দাঁড়িয়ে দেখছে,
নিশ্চিহ্ন হওয়া প্রায় সব প্রকৃতির উপাদানের নিত্য প্রক্রিয়া -


কেবল রুমের এপাশ থেকে ধ্বনিত হচ্ছে এক, দুই, তিন করে অসংখ্য গান -
তোমার বিস্মৃতি উকি দেয় কখনো সখনো মনের কিনারায়,
তোমায় ভেবে প্রশান্ত মোহনায় ঢেউ উঠে অজানা মৌহের কল্পে -


বিরাত'তো আমায় ডাকেনি একবারও ডেকেছে কেবল পুড়ে যাওয়া অস্তিত্বহীন মুহূর্তগুলোকে -
হৃৎপিন্ডে এতটুকুও জৌলুসতা নেই,
নেই কোন পাওয়ার বিমুগ্ধ করা ক্ষণ -


তোমার স্পর্শের বিন্দু মাত্র মিশেনি আমাতে একটুও,
অতীত ভেবে কেবল আমিই মিশে যায় তোমাতে অপার মায়ায় -
তিমির কেটে যাবে,
আসবে প্রভাত শেষে সদ্য ফোঁটা ভোর তবুও থাকবে তুমি আমার দৃষ্টির নিঃশেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত --
...


রচনাকাল…
2013.May.24_01.30 রাত্রি।