মাদুর পেতে বসে আছে,
বিরাতের সেই অচিন পাখিটি;
আয়োজনের সমারোহ প্রারম্ভ,
বিনিদ্রতার আসর ক্রমশঃ নিকটে।


তোমার চিত্ত পবন হতে ভেসে আসে,
স্বরচিত ওই রাত জাগার কাব্য;
সু-স্পষ্ট শব্দ ঝংকারে মাতোয়ারা,
নিস্তব্ধ বাতাবরণের অঙ্গ প্রত্যাঙ্গ।


নিশ্চুপ লোকালয় মৃত সাক্ষী হয়,
অস্পর্শী ইতিহাস লিখনীর;
সঙ্গিতের জমকালো জৌলুসতা ছড়িয়ে যায়,
অতীত ইতিহাসের পৃষ্ঠা ছাড়িয়ে।


তুমি নিরেট দূরত্বে শ্রবণ করো,
বিহঙ্গের বেসুরো কাব্যিক কণ্ঠ;
আর অবলীলায় খুলে দাও সব'কটা দ্বার,
যেনো সে শিল্পী ছুঁয়ে যায় খুব করে তোমায়।


যুগ পেরিয়ে শতাব্দি অবধি,
পেরিয়ে গেছে বারবার তোমার;
তবুও সেই রচিত মহাকালের শিল্পী,
আশ্রীত যত কামনা ছুঁয়ে যায়নি আজও।


একদা মরণ ঘনিয়ে আসে চেতনার,
নিষ্প্রাণ হয় জমানো ঐ প্রত্যাশা;
অথচ প্রতীক্ষার নেত্র তখনও জ্যান্ত তোমার।


তাই সেখানটায় তোমার সমাধী প্রাঙ্গনে;
এখনও জ্বলে রয় অমৃত এক প্রদীপ।


এফিটাপে লিখা আছে প্রদীপটির নাম
নীল প্রদীপ।
▪     ▪     ▪


রচনাকাল…
2014·Mar·29
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।
02·10·AM