নিকষ বিরাতের অদূর নক্ষত্র স্পর্শী,
অদ্বিতীয়া মহীধরের চূড়ায়;
কোন মহীরূহের শিকড়ে বিচ্ছিন্নতার প্রদীপ জ্বেলে,
কৃত্রিমতায় নিশ্চিহ্ন হবো।
অবধারিত কোন গন্তব্যে,
আপোষহীনে বিলুপ্ত হবো;
অবলীলায় যেথায় মিলিয়ে যাবো,
জ্বলন্ত মহাকালের গলন্ত মোমের মত।


একদা হয়ত স্মৃতির বিস্মৃতি এসে,
প্রকান্ড ঠোকরাবে আমায়;
নষ্ট সমাজের ভ্রষ্ঠ চেতনাগুলো তখন,
আমার অণ্বেষণে প্রচন্ড ব্যস্ত হবে।
অতঃপর রেখে যাওয়া বিস্তৃত দীর্ঘশ্বাস আমার,
পুণঃজাগ্রত হবে নব আলৌকিকতায়;
যা ক্রমান্বয়ে সব'টা সমাজপতির, পাপিষ্ঠ বিত্তশালা বিস্ফোরিত করবে।


পরিশেষে কালচে বর্ণে খচিত হবে আমার নাম,
অভিশপ্ত ইতিহাসের আস্তাকুড়ে;
সদ্য বিজয়ী উপত্যকায় মুছে দিয়ে আমায়,
মিশাবে এক বিধ্বস্তের নিদারুণ যাতাকলে।
নিমজ্জিত হয়ে যুগ অবধি যুগ,
যাবে কেটে নির্জন নিরালায়;
অবরুদ্ধ যাপনে সচরাচর ধরণীতে তখন,
হয়ে যাবো দুর্ধর্ষ এক অপরাধী আমি।


নিশ্চুপতার ছিয়ানব্বই হাজার শতাব্দির,
প্রারম্ভ পৃষ্ঠে আরোহিত হবো একদিন;
সেদিন জীবন, মহাকাল আর সভ্যতার অজস্র অসাদৃশ্যতার যাতনায়,
অকৃত্রিম যাত্রা পাড়ি দিবো চূড়ান্তে।


আমি বিলুপ্ত হবো…


রচনাকাল -
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।
14:Sep:02_02:20:রজনী।