অঙ্কুরিত স্বপ্নের সুপ্ত অন্তরালে,
গড়ে উঠে যাতনাময় বিস্মৃতির মুকুল।
মধ্যাহ্নের নিকষ মৃত্যু পুষ্পে,
গুঞ্জরণ করে নিটোল পিশাচি মৌদল।
অনাহারী জনপদে হুহু উঠে আসে,
ভাঙ্গা পোড়নের নির্দয় অভিশাপ।
নিঠুর অভিলাষ যত অভিষিক্ত হয়,
নীরিহের ঠুকনো মঞ্জিলের দ্বারে।
সেখানে স্বপ্ন থাকতে নেই,
সেখানে থাকতে নেই আশার কুপি।
সেখানে থাকবে কেবল বিস্মৃতির পোড়া মাটি,
আর বিষাদের বিষদগ্ধ বিপ্রতীপ দৃষ্টি।
আকাঙ্ক্ষাহীন চেতনার নির্জীব বসবাস সেখানে,
যেখানে প্রতিনিয়ত সওয়ারী হয় হিংস্রতার মশাল।
সভ্যতার অসীম পালাবদলেও সেখানে পৌঁছায়নি,
মানবিকতার অতটুকুও নির্মল সংস্পর্শ।
আমি ধিকৃত, আমি বহিস্কৃত, আমি চির অপরাধী,
আমি পারিনি ভাঙতে সেসব নিথর রক্তমিশ্রীত শিকল।
তাই আমায় বুলেট, রকেট ল্যান্সারে বিদ্ধ করো সহসায়,
যেমনটি করেছিলো লা হিগুয়েরাই পুরুষ আর্নেস্তা চে'কে।


রচনাকাল -
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।
2014·Oct·30_02·40·মধ্যাহ্ন।