এখানে রাতের আকাশ জাগ্রত থাকে নিভৃতে;
বিনিদ্রতার আচ্ছন্নে আবৃত হয় ফেরারী স্মৃতিরা।
বিরাতের বটমূলে নেমে আসে যামিনীর গভীরতা;
শাখা প্রশাখা রঞ্জীত হয় বিরহের লালাভ রঙে।
বিষাক্ত অক্ষির তেপান্তরে গড়ে উঠে বিস্মৃতির অভিলাষ;
চিরন্তন সেই অচেনা বীণার মরমী সুর বেঁজে উঠে অবেলায়।
প্রকঁম্পিত চিত্ত গগণে বিচূর্ণ হয় স্বপ্নীল যত নক্ষত্র;
স্বপ্নের অন্দর মহলে জন্ম নেয় বিচ্ছেদের আল্পনা।
প্রচ্ছন্নতায় জীবনের দ্বারে সৃষ্টি হয় যাতনা;
নিগূঢ় তমসার পরতে পরতে মিশে রয় যা অনন্তকাল।
অবক্ষয়ের নিটোল পরিণতিতে আবিষ্কার হয় এক অনির্বাণ;
যে শিখায় দগ্ধ হয় ক্রমশই অতীতের সমস্ত লেনাদেনা।
তখনো অবধি এই বিরাতের আকাশ ঘুমোবেনা জানি,
নগরীর বটমূলে বন্ধ হবেনা সুখের মৃত্যু মিছিল।
তবে চলুক অন্তহীনে এই ক্ষয়িষ্ণু যাত্রার লগন;
যবে ধরণী ক্লান্ত হবে পুড়িয়ে এই পরিযায়ীর নীলচে হৃৎপিন্ড।
তবুও আমি প্রতীক্ষমান হলাম কোন অচিন বেশের পথিকে;
যতকাল না ফিরে পায় স্পন্দন এই কবিতার পংক্তির আত্মারা।


রচনাকাল -
শাপলাপুর, মহেশখালী, কক্ִসবাজার।
2014·Oct·23_12·30·রজনী।