দীর্ঘ তিপ্পান্ন দিন নির্বাসিত ছিলাম।
তৎদিনে কবিতা হয়ে গ্যাছে,
শুকিয়ে শুকনো কাঠ কঠিন।
নির্বাসন থেকে সবে মুক্তি পেলাম মাত্র জগত সংসারে,
তাতেই সভ্যতার অশ্লীল সন্ত্রাসে বেপরোয়া হয়ে উঠছে, কেড়ে নেয়া আমার যত অসমাপ্ত কবিতারা।
অনেক শব্দও সেখানটায় মরে গ্যাছে,
অনাহারে, অভাবে পিতৃত্বের দীর্ঘ অসংস্পর্শে।


অপুষ্ট অক্ষরের চিবুক ভরা হাড়গুলো, ভেসে আছে নির্বাকে,
ঠিক যেন সাগরের ভেসে থাকা, কোন বিকল জাহাজের মতন।
কবিতারা আমায় এখন তাড়া করে খুব,
তাদের রসদমালা যোগান না দেয়ার দায়ে।
ছিন্নভিন্ন এই পঙক্তিমালা আজ হয়ে উঠেছে,
হিংস্র একেকটা সর্বভুক নিদারুণ দানব।


অতঃপর অপরাধীর বেদনা পাঁজর বয়ে, ছুটে চললাম আদিগন্তে,
যেথায় নেই কোন কবিতার ঔরষ, নেই শব্দে শব্দে সংযুক্তির বিমুগ্ধ লীলাখেলা।
সে থেকে আজ অবধি তৃণারণ্যের গহীন গভীরে যাপন আমার,
সমাজের বেপরোয়া বৈষম্য ছেড়ে, আছি নষ্টের নীল কষ্ট বক্ষে বয়ে।


কবিতাহীন অন্ধ সে সমাজ আমায় আজ বিদ্রোহী আখ্যা দেয়,
কলুষতার নির্মম আঘাত সূচনার দেড়গোড়ায়, আমি কবিতার সুধা ঢেলেছিলাম বলেই।
তদপর সমাজপতিরা আমায় অবরুদ্ধ করলো,
নির্মম পৈশাচিকতার বদ্ধ কারাগারে।
পরিশেষে আমায় পতিত করলো ফের অন্তিম ঐ নির্বাসনে।
আমি এক আজন্ম নির্বাসিতা বলছি।


রচনাকাল -
সমুদ্র সৈকত, হিমছড়ি, কক্ִসবাজার।
2014:Apr:28_09:05:রজনী।