একদিন শূণ্য সরসী হতে প্রচন্ড মরুপ্রান্তর ঘুরে;
আমরা মিলিত হবো আচমকা এই ধরিত্রীর ক্ষৌণীতে।
হাতে হাত আর চোখে চোখ রেখে তখন;
দিব্যি হস্তাক্ষরীত করবো এক অবিনশ্বর কবিতার পংক্তি দু'জনা।
তোমার ঐ বিস্তীর্ণ অঙ্গরূহ আর নিমলিত দৃষ্টি হতে;
সদ্য ঝরে যাবে অনন্ত এক তৃপ্তিপূর্ণ স্নিগ্ধতার তুমুল কলরব।


হ্যাঁ,
বিচ্ছিন্নতার নির্মম পরিচ্ছেদ পেরিয়ে;
একদিন আমাদের দেখা হবেই হবে।
দূরত্বের পিশাচী বিড়ম্বনা বাস্তবতায় চূর্ণ হয়ে;
বেখসুর খালাস পাবে বহুল প্রতীক্ষিত সে যোগসূত্র।
সেদিন খুব করে আমার বিষম অভিপ্রায়ের দীপ্তিতে;
তোমায় চিত্রণ করবো অস্পর্শী কামনার লহরীতে।


আমায় দৃঢ় মশালের মসৃণ প্রভায় তুমি অদৃশ্য করবে;
আর ক্রমে খন্ড বিখন্ড করবে যাতনার যত বিস্তৃত প্রাচীর।
সেসব প্রেম যামিনীগুলো প্রকান্ড এক তিমিরে পরিণত হবে সাবলীল;
জানলার দেহযষ্টিতে দ্রষ্টা হবে জ্যোৎস্নারা ওসব রজনীমালার।
প্রত্যাশার নিদারুণ প্রলয়ে মুদ্রিত হবে দুজনার;
অপরাজিতা যত কাব্যিক রচনাবলী সমগ্রের প্রমাণিক একগ্রন্থ।


অতঃপর,
আস্বাদনের যৌক্তিকতায় সে গ্রন্থের নাম হবে;
ভালোবাসি, ভালোবাসি।


রচনাকাল -
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।
2014.Oct.17_12.00রজনী।