রক্তক্ষরণ থেকে বহরের মশালগুলো,
জ্বলে উঠছে ক্রমশই।
আর আমরা বিজয়ের প্রদীপ হাতে,
নিশ্চিন্তে এগিয়ে চলেছি গহীন নৈশব্দ্যে।


সে যাত্রার প্রচ্ছন্ন বর্ত্মগুলো ছিলো,
হিম শীতের আস্ত ঠান্ডায় জমাট বাঁধা।
নিঃস্ব ও নির্জন শত মহীরূহের ডালাপালা মুড়িয়ে,
আমরা ছুটে চলেছি রক্তকিরণ বরফের পর্বতে।
নির্ভয় সে যাত্রায় আমরা হারিয়ে ফেলেছিলাম,
গন্তব্যের সজ্জিত বর্ণমালার পথ-নির্দেশিকা।


বরফের চাদর আবৃত বিরাতের মধ্যাংশে পৌঁছে,
আমরা বহর সর্বস্ব খুঁজে নিলাম কাঙ্খিত সে সম্রাজ্ঞীর পর্বত।
অতঃপর মুহূর্তেই মসলিন কাপড়ের পর্দা চিড়ে উঠে আসে,
চূড়ান্ত ঠিকানার বহুল প্রত্যাশিত সে রমণী।


এখানে রমণীর হিম শীতল দেহে নেই কোন নিটোল আহ্ববান,
নেই খুব করে করে জমিয়ে রাখা অনন্ত কালের কোন মোহ।
নেই অন্তহীন কামনার স্বর্ণালী শত উৎসুখ প্রত্যাশা,
নেই অঝর সুখের বিরতিহীন প্রেমের সুষ্টিমূখর উল্লাস।


এখানে আছে কেবল রমণীর তীক্ষ্ন চাহনীতে যাতনার ক্রন্দন,
আছে অজস্র অতৃপ্তির নির্বাক নিস্তব্ধতার অবাধ সমারোহ।
আছে শয়ে শয়ে ক্রমশই ক্ষত বিক্ষত হওয়ার নির্মম ইতিহাস,
যেসব তান্ডবের নিষ্ঠুর আচড় স্পষ্টই চিত্রিত সম্রাজ্ঞীর সমুদয় নীরে।


অনিঃশেষ বেদনার নীলাভ প্রদীপ জ্বেলে এখন ক্রামান্বয়ে,
আমরা শুনে চলেছি কোন বাকরুদ্ধ রমণীর জীবন পঞ্জিকা।
হয়ত কোন অনির্দিষ্ট কালের পরেও,
এই পঞ্জিকার মরমী যন্ত্রণার শিক্ত স্লোগান শুনে যেতে হবে অনন্ত।


রচনাকাল -
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।
09.Feb.2015_09.40 রজনী।