বিষন্ন বিষদগ্ধ আত্মার নির্বাক জলছাপে আটকে আছে;
ইতিহাসের সবচে বড় ক্ষতগুলো নিঃশব্দে।
নির্জন মন অরণ্যে নেই অতটুকুও সবুজের সমীরণ;
শয়ে শয়ে সবটাই কাতর হয়ে আছে বিভ্রাট চোখে।


পশ্চিমা জানলার শীর্ণ ফ্রেম ধরে কতটুক শীতল হাওয়ার দল;
আর শূণ্যে মিলিয়ে আছে মহাকাশ ভর্তি কার্বন-ডাই-অক্সাইড।


এখানে নিঃশ্বাস আর প্রশ্বাসের মাঝে সদা চলে গগণ বিদারী এক তুমুল রক্তক্ষরণ;
হৃৎপিন্ড বেঘোর তৃষ্ণায় আচ্ছাদিত হলেও কাটেনা রণক্ষেত্রের অর্থহীন মৃগতৃষ্ণার লড়াই।


নিয়ন আলোয় সেসব যুদ্ধের দামামা বেজে যায় ক্রমশই অক্ষম চেতনার পরতে পরতে;
আর সেভাবেই কালছে অতীতের প্ররোচনায় তেড়ে আসে বিক্ষত ভোর।


নৃশংস সে জীবনের পরম্পরায় রয়ে যায় আরও শত সহস্র যুদ্ধের নিকষ দাগ;
যে খবর হয়না ছাপা ছুটে চলা অবিরাম সময়ের কাটায় কাটায়।


বিচূর্ণ মননের হাত ধরে  ভেসে গেছে যেসব অপ্রকাশিত ছদ্মবেশী মৃত রাত;
সেসব রাত্রির তমসার অতল গহীনে ডুবে আছে আজও জলজ্যান্ত আহত অজস্র স্বপ্নের মেঘদল।


আমি ফের তব আশ্রীত করি নিদারুণ যত ইতিহাস প্রলম্বিত করা চিত্তের সুপ্ত ভ্রুণ;
যেথায় সরব উপস্থিত থাকে সুদূর সামনের অনাগত পথের যত পূর্বাবাস।


সে প্রত্যাশায় তবে নিমজ্জিত হোক এই আধখুন হওয়া প্রাণের আছে যত আশার শীহরণ;
যে আশার স্বকীয় প্রখরতায় এই পরিত্যাজ্য ধরণী প্রজ্জ্বলিত হবে আগত যত নব্য স্বপ্নের নিষ্পাপ মোহের স্পর্শে।


রচনাকাল-
2014.Oct.26_12.00 রজনী।
এন্ডারসন রোড, কক্ִসবাজার।