তোমার বহুতল নীল আঁচলের ভাঁজে ভাঁজে,
আমার নিদারূণ মোহের বর্ণীল সব প্রত্যাশা খুঁজতে খুঁজতে,
সহসায় সংকোচহীনে কেটে গেলো এক'শ বসন্ত।


এখন পৌষের সমাপনী থেকে মাঘের বিস্তীর্ণ রাজত্ব,
তোমার লালাভ ঔষ্ঠ হয়ে ভীষণ মনোরম ও অনুগ্র গ্রীবার পরতে পরতে মিশে আছে,
শীতের তীব্র শীতলতার মৃদু মৃদু আস্তরণ খুব করে।


পেতে চাই তোমায়
ডানা মেলা প্রদোষের শীতার্থ নিস্তেজ পালকে,
আসন্ন যামিনীর বুক ভরা তমসার থমথমে আলোকে।


পেতে চাই তোমায়
বেঘুরো রাত্রির টিকটাক সময়ের দেয়ালিক কাঁটায়,
অনন্ত জাগ্রত সহস্র সুপ্ত প্রাপ্তির শত আশায়।


পেতে চাই তোমায়
নিটোল শীতের উষ্ণ কামনার বিষম প্রাপ্তিতে,
প্রতীক্ষায় নুয়ে পড়া দৃষ্টির বেহুশ যত ক্লান্তিতে।


পেতে চাই তোমায়
নির্জন নগরীর নিশ্চুপ প্রশান্তির নিরালায়,
দিব্যি প্রহরায় জেগে থাকা সোডিয়ামের হলদে পোষ্টটায়।


পেতে চাই তোমায়
অসীমে ছড়ানো অস্ফুট ধূমিকায়,
বিরাত জাগা শহরের নীরব সুখে আবৃত মোহনায়।


পেতে চাই তোমায়
বিনিদ্র অমিলিত গোলকদ্বয়ের প্রান্তে,
দৃঢ় চাহনীর রূঢ় প্রতীক্ষার পরিশেষের অন্তে।


পেতে চাই তোমায়
নির্বাক নীল অম্বরের প্রস্ফুটিত অগণন তারায় তারায়,
সিংহল সিন্ধুর আলিঙ্গনে মুগ্ধ ঢেউয়ের পাড়ায় পাড়ায়।


পেতে চাই তোমায়
অস্পর্শী বক্ষের শ্রান্ত নিশির প্রশান্তির পসরায়,
নব কৃষ্টির নব্য ধ্বনির সৃষ্টি সুখের উল্লাসের ফোয়ারায়।


রচনাকাল -
2015.Jan.19_01.15 রজনী।
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।