এখন অনেক রাত─
খোলা আকাশের নিচে,
মেঘের ওপারে বসে আছে এক যুবক,
হাতে লাইটার আর মুখে সিগারেট,
বিনিদ্রতায় চির জাগ্রত,
প্রতীক্ষা ঐ সুদূরে,
কখনোবা দৃষ্টি দখিনা জানলায়,
নীল শাড়ি পড়া প্রেয়সীর ভাবনায়।


এখন অনেক রাত─
পৃথিবী হারিয়ে গেছে অজানায়,
শরতের রন্ধ্রে রন্ধ্রে তন্দ্রার রাজ্যে,
শীহরিত বিস্মৃতির উল্কা পিন্ড,
নেমে আসে মনের কিনারায়,
প্রতীক্ষার অন্তহীন আঙিনায়,
নীল শাড়ি পড়া প্রেয়সীর ভাবনায়।


এখন অনেক রাত─
হয়ত প্রিয়তমাও রেখেছে আঁখি উন্মুক্ত,
দীঘল কালো বিস্তৃত চুলের অতলে,
চাপা দিয়ে সবটা অতীতের গল্প,
চিত্রিত করছে দগ্ধিত রাত্রির একা যত প্রলাপ,
কত খুনসুটি আর অভিমানীর দীর্ঘ আলাপন মেখে,
চেয়ে আছে অতুল চাহনীতে সেই যুবকের ছবি এঁকে।


এখন অনেক রাত─
অস্পর্শী সব প্রেম উপাদান তুলে রেখে যতনে,
হয়ত প্রণয়িনীও নিবিড় করা মুগ্ধতায়,
বোসে আছে পোড়া দৃষ্টির অপলক প্রহরে,
নিবৃতে ভালোবাসা কুড়িয়ে পাশে সঙ্গোপনে,
মধুর সুধার সে কণ্ঠস্বরের আবির ঘ্রাণে,
লজ্জায় লাল হয়ে ডুবে অস্ফুট কণ্ঠে বলছে বারেবারে,
চলে এসো প্রিয়তা আমার চিত্ত পসরার অবমুক্ত এই দ্বারে।


এখন অনেক রাত─
দুটো হৃৎপিন্ড নির্জনে লুকিয়ে মুখ স্ববক্ষে,
অগণণ শত রজনীর নিশ্ছিদ্র তমসার হাহাকারে,
ক্রমে ক্রমে দূরত্বের নিশ্চিহ্নতায়,
হারিয়ে কত বেলা অবেলার অভিলাষী মোহমালা,
হয়ত নিদারুণ ওই ভালোবাসাই জড়াতে চায় নির্দ্বিধায়,
হয়ে একত্র ফুটিয়ে কামনার বহুল প্রত্যাশার মিলনের আস্বাদে।


এখন অনেক রাত─
দুটো খুব পরিচিত হৃৎপিন্ড,
বলছে কথা পিঠে পিঠ রেখে,
একজন শাদা ধবল সিগারেট হাতে,
ও অন্যজন নীল শাড়ি পড়া এই রাতে,
কোন অচিন প্রেমের ইষ্টিশনের,
শীর্ণ জানলার বিবর্ণ ফ্রেমে।


এখন অনেক রাত…


রচনাকাল -
2014.Oct.31_01.45 রাত্রি।
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।