প্রবল এক যাতনার তীব্র বর্ষণে সাদামাটা হচ্ছে,
আমাদের অতীত সমগ্র আলাপনের বিমুগ্ধ যত স্মৃতিক্ষণ।
এখানে ঘোর যামানীর নির্জনতায় জড়ো হয় প্রতিনিয়ত,
বিষাদের যত লেলিহান অগ্নিকুন্ডের আঘাতের জ্বালানী।
রাত্রির নিটোল গভীরতায় অন্তর সত্তার ভাঁজ খুলে দেখি,
বেদনার সুপ্ত কোণায় মিশে আছে অগণন বিরাতের অতৃপ্ততা।
দিশাহীন এক প্রচ্ছন্ন সমারোহে এগুচ্ছে মনন,
ব্যাথিত সম্রাজ্যে যেন সর্বগ্রাসী হয়ে উঠছে সমস্ত বাতাবরণ।
ধরণীর অকুল প্রান্তরে ভেসে যায় একরাশ হাহাকার,
আর বিনিদ্রের তপ্ত পথ দগ্ধ হয় বিষণ্ণের দাবানলে।
সেভাবেই অসমাপ্ত সে যাত্রায় চলে যায় অসংখ্য শতাব্দি,
চূড়ান্ত উপসংহারে থেকে যায় অস্পর্শী অস্ফুট এক ইতি।


রচনাকাল -
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।
2015.Jan.06_11.50 রজনী।