অনন্ত ছুঁয়ে দাও
সদ্য শৈশব সকালের কোমল রোদ্র হবো,
হবো প্রজ্জ্বলিত রবির স্নিগ্ধ প্রখর রশ্মি।


অনন্ত ছুঁয়ে দাও
খরতাপ মহধ্যাহ্নের বিমলা ছায়া হবো,
হবো দীঘল একাকী উদাস দুপুরের বিস্তৃত সহচর।


অনন্ত ছুঁয়ে দাও
মৃদুগামী অপরাহ্নের বিস্তীর্ণ গল্প হবো,
হবো কোমল চাহনীর অঁজিষ্ণুর টিমটিমে কুসুম।


অনন্ত ছুঁয়ে দাও
গোধূলির অমল অম্বরের শান্ত মেঘদল হবো,
হবো ক্লান্ত মননের নির্মল রংধনুর দিগন্ত অসীম।


অনন্ত ছুঁয়ে দাও
উষসীর টুপটাপ অবেলার বৃষ্টি হবো,
হবো নিভৃত নিকষ তমসার নিটোল জ্যোতিমালা।


অনন্ত ছুঁয়ে দাও
রাত্রির নিবিড় নিরংশুর নিত্য প্রভা হবো,
হবো দুর্বোধ্য ক্ষপার অমল রোশনাই।


অনন্ত ছুঁয়ে দাও
গহীন বিনিদ্র বিরাতের কাজল ভরা ঢাগর অক্ষি হবো,
হবো নির্জন পরিচ্ছেদের নিদারুণ অজস্র কবিতাগুচ্ছ।


অনন্ত ছুঁয়ে দাও
প্রভাতের জানলার সুকন্ঠি বিহঙ্গ হবো,
হবো প্রশান্ত তন্দ্রায় সুশোভিত সুপ্তি।


অনন্ত ছুঁয়ে দাও,
ভোরের এলোকেশীর ফুরফুরে উদীচী হাওয়া হবো,
হবো নিসর্গের সদ্য প্রস্ফুটিত পুষ্পের স্নিগ্ধ সুবাস।


অনন্ত ছুঁয়ে দাও,
উষার জন্মলগ্নে জমে উঠা চিকচিক শিশির হবো,
হবো অরূণদয়ের সোনালী অরণ্যের ঢাঁশা মহীরূহ।


অনন্ত ছুঁয়ে দাও,
হৃৎযন্ত্রের অন্তহীন স্পর্শী প্রেম হবো,
হবো অধরা প্রত্যাশার যত একান্ত মোহমালা।


অনন্ত ছুঁয়ে দাও,
হৃদয়ের সিন্ধুতে কামনার নিরেট ঢেউ হবো,
হবো গর্জনে প্রকম্পিত ভালোবাসার উত্তম পাত্র।


প্রণয়ী,
অনন্ত ছুঁয়ে দাও একবার…


রচনাকাল -
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।
2015.Jan.24_01.20 রজনী।