রাত্রির বিনিদ্র আবহে মিশে যায় তরুণের অভিলাষ,
অদূরে জাগ্রত শ্রমিকের ভাসন্ত টুংটাং আওয়াজ।


নগরীর সুঠাম গগণে বিস্মৃতির উল্কাপিন্ডরা জড়ো হয়,
শত বিচ্ছদের অহরহ তুলকালাম চিত্রপট রচনা করে তারপর।


রজনীর অঢেল ভাঁজে শত জীবনের পদচ্ছাপ দেখে দেখে,
নবজাতক কোন অপত্যের ঢুকরানো স্বর ফুঁড়ে যায় তরুণের বক্ষ।


বিবিধ জীবনের কী নিদারুণ সংজ্ঞায় রচিত এই তিমির,
যার রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে আছে মানুষ্য ভাগ্যের লিপি।


এই শহরে সোডিয়াম জ্বেলে অগ্রগামী হয় প্রভাত ভোর,
যার ল্যাম্পোষ্টের তলানিতে জমে থাকে অগত্যার কাতরতা অসীম।


তরুণের নিদ্রাচারী নেত্রে নেমে আসে জাগানিয়ার তুমুল বর্ষণ স্রোত,
অগণন ইতিহাস বক্স বন্দি করে তরুণ মুড়িয়ে ফেলে রাত কফির পেয়ালায়।


আহারের আর্তনাদের অবিরাম বেজে যাওয়া বীণার তার ছেড়া সেই সুর,
শ্রমশক্তির ক্ষয়ে উৎপন্ন টুংটাং আওয়াজ ভেসেই চলেছে প্রবল।


আর তরুণ ক্লেশ জর্জরিত অপত্যের ক্রন্দন বুকে নিয়ে,
নিবিষ্ট চোখের অন্দর মহলে বয়ে দেয় বিষাক্ত কফির সুধা।


তরুণ,
তোমার প্রভাত থেকে ভোর আসন্ন;
এবার সওয়ারী হও মৃত্যুর পিঠে।


রচনাকাল-
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।
2015.Jul.12_02.05 রজনী।