তুমি অনন্ত বর্ষা,
ভরা যৌবনা; জলের ফোয়ারা।
বিস্তৃত প্রান্তরে ঝুম মাতমতা,
রিমঝিমে তুমি হয়ে উঠো সুর দরিয়া।
তুমি উদ্যমী; হাতছানি চির সবুজের,
ছুঁয়ে যাও নরম নিদ্রা; কল্প বিলাসের রাত্রি।
তুমি খুব একাকী নীল পদ্মের সখী,
ভিজে টাইটুম্বুর টসটসে কদমের অমরণী।
তুমি কলতান জাগ্রত চিত্তে,
ভেসে তোল স্মৃতি বিস্মৃতির পেখম।
তুমি দুরন্ত দুর্বার আক্রোশী ক্রোধ;  আগ্রাসী,
করো চুরমার তুলে আনো প্লাবনের অবিরল বান।
তুমি অষ্টাদশী প্রেমিকা; টান টান বাহু,
সমুন্নত জোয়ানে উদ্দীপ্ত প্রগাঢ় নদী মোহনার।
তুমি বর্ষা; শ্রাবণের সংজ্ঞা,
তুমি গগণের বুকের উচু তোরণে জমে থাকা সুচাওয়ার পিন্ড।
তুমি বর্ষা,
বৃষ্টির নিরবধি যৌবণা।
তুমি পূর্ণ আষাঢ়ের রাণী; রূপসী অনন্যা,
সংসার চরাচরে একচ্ছত্রাধিপত্য দাপুটে স্বর।
নিঃসঙ্গ করুণ কাতর অপরাহ্নে কফির পেয়ালা,
ঝুল বারান্দার পেন্ডুলাম ক্যাকটাসের টব।
তুমি জংধরা মননের বিপ্লবী রূধির,
ডেকে তোলা সদা সত্যের নির্মল আশার আলো।
তুমি নিভৃত জীবনের ফের ডানা মেলার আহ্ববান,
নিস্তব্ধ বাতাবরণে আঁধার চূর্ণ উজ্জল দীপ।
তুমি বর্ষা; টুপটাপ হিল্লোল,
উদার পুকুরে নব প্রেম কল্লোল।


রচনাকাল-
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।
2015.Jul.24_04.55 অপরাহ্ন।