তবে চলো অভয়ে এবার আয়োজন করা যাক নির্বিঘ্নে বিনিদ্রতায়,
বিচারিক কার্যক্রমের মহা সমারোহের কর্ম চাঞ্চল্যতা।


বিরাত এসে পড়েছে দেয়াল ঘড়ির মধ্য  কাটায়,
পর্যায়ক্রমে যা লেপ্টে যাবে প্রভাতে থেকে ভোরে।


তোমার সমূহ অভিযোগের মাত্রা তবে প্রলম্বিত করো,
একে একে সুবিন্যস্ত করে সাঁজাও যত অনুযোগের ক্রোধমালা।


তারপর ক্রমান্বয়ে তুলে আনো অপ্রাপ্তির দীর্ঘ তালিকা,
যেখানটায় খুব করে মিশে আছে আমার শত ব্যর্থতা।


অতৃপ্তির নিটোল  ক্ষারে গলিত হৃৎপিন্ডও তবে সম্মুখে আনো,
না পাওয়ার চূড়ান্ত আত্মস্বীকৃতিতে মুখরিত করো এই রাত্রির বিচারালয়।


প্রবল আর্তনাদে নিমিষেই তুমি হয়ে গেলে মুর্ছা করুণ,
বিরল আকাঙ্ক্ষাহীন বিবর্ণ নেত্রে বয়ে আনলে লোনা স্রোত।


তোমার নিদারুণ এই পরিণতির সুক্ষ কারণটুকুও ছাড় পেলোনা,
উন্মুক্ত বাজের মত ঝাপটে ধরে শিকার করে ভেসে তুললে আমার অবহেলার যাবতীয় মানচিত্র।


বহুল প্রতীক্ষিত এই নিশির তরে অপেক্ষা তোমার যুগ যুগান্তর,
খোয়বনামায় রচিত ছিলো দুয়েক শতাব্দি আগে থেকেও যা।


অতঃপর পরিশেষে সেই মহেন্দ্রক্ষণের সূত্রপাত হলো,
একনিষ্ঠ চিত্তে তুমি উপস্থিত হলে অজস্র সহস্র বেদনার পসরা নিয়ে।


অপরাধীর নির্মম অধ্যায়ে জানি আজ আমি কলুষিত দারুণ,
নিষ্ঠুরতার সর্বোচ্চ শৃঙ্গে হিংস্রতার পল্লিতে যাপান আমার।


সত্যি আজ আমি বড্ড এক বিকল চিত্তের অসহায় তোমাতে,
প্রকান্ড পিশাচের পরিচয়ে রক্তাক্ত ক্ষত বিক্ষত বিচূর্ণ।


আমার অনন্ত রক্তচক্ষুর বিভীষিকাময় আঘাতের প্রত্যুত্তরে,
বলো কতটুকু হৃৎপিন্ডের অন্দর মহলে বিষ ঢালতে চাও?


আমি নীরবে নিরুত্তরের সবটা একান্ত চিত্তে নত গ্রহন করবো,
যদি চাও তো দাও সহসায় নিমিষেই অগ্নির চির দহন আমি সমর্পিত আজ তোমাতে।



রচনাকাল-
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।
2015.Apr.25_01.45 রজনী।