শাশ্বত এই নির্জন রজনীর পাড়ে পড়ে আছে নির্জীব নির্বাক,
তোমার অহরহ মৃত নিঃশ্বাসের বেসুরো উল্লাস ধ্বনি।


ইতিহাস ছুঁয়ে দিতেই সেসব উল্লাস থেকে গড়গড়িয়ে বেরিয়ে এলো,
একাকীত্বের দারুণ সব সংজ্ঞা আর বিরহের নিকষ যত ছোপ ছোপ দাগ।


আচ্ছা অনিরুদ্ধ সে রাত্রিগুলোকি ছিলো তোমার,
কোন অতৃপ্ততার অঢেল পাহাড়ের ঘন কালো আঁধার যাতনা?


নাকি পাষান্ড হৃদয়ের মোহনায় ছিলো প্রকান্ড প্রবল,
কোন অতি আশ্চর্যিত প্রেমের সুদৃঢ় বাসস্থান যাপন?


অসীম এক অসম সময়ের গতিপথ ধরে সে রাত আজও বয়ে চলে,
সরিসৃপের ন্যায় বিষাদ ভরপুর বিষণ্নের সহস্র বেদনা নিয়ে।


যুগ অবধি শতাব্দি আমি ওসব প্রশ্নমালা অন্বেষণে বিভোর,
এমনকি ছুঁয়ে দেওয়া ইতিহাসেও নিশ্চিহ্ন সেসব প্রশ্নের উত্তর।


বরাবরই নিত্য নিকষ রজনীর উত্তাপ ঘনত্বে তুমি নিরেটতায় মিশে থাকো ভীষণ,
আর অগণিত আগত কৌতুহলি জিঘাংসার বহর সর্বস্ব আমায় বিনিদ্র রাখে অবিরাম।


তন্দ্রাহীন সেই উল্লাসের বিবর্ণ আস্ফালনে একদিন নিশ্চিত,
আমার কলমের কালির ফিনকিতে উঠে আসবে বর্ণীল সেই সমূহ উত্তরমালা।


সে অনাগত রাত্রির প্রতীক্ষিত সুশোভিত ভোরের লগ্নে,
আমি প্রাণান্ত মর্মের উচ্ছ্বাসে নিবেদিত হয়ে বিনিদ্র রবো।


হ্যাঁ, আমি বিনিদ্র হবো অনন্ত।



রচনাকাল-
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।
2015.May.05_03.10 রজনী।