কালজীর্ণ মহীরূহের প্রাংশুময় শাখায় পালায় নির্বিবাদ জারি হবে,
ধেয়ে আসা এক আসুরিক মহাকালের আগত নির্মমতার ক্রূর প্রবচন সমূহ।


বিমূঢ় চেতনার মৃদু শিকড়ে দিকবিদিক প্রলয় উঠবে তারপর,
ক্ষণে ক্ষণে মূষড়ে পড়বে অতিক্রান্ত পৃষ্ঠার কটু কর্ম সমগ্র যত।


ধ্রুব সত্যের শঙ্কাহীন গালিচায় চড়ে প্রকম্পিত দৃষ্টিতে তখন তেড়ে আসবে,
কোন চির চেনা অথচ বড্ড অপরিচিত এক ভিন্ন সৃষ্টির তাগড়া বাহু।


নিমিষেই ছিনিয়ে নিবে প্রকান্ড এক আলৌকিক সক্ষমতায়,
দেহ হতে অন্তর আত্মার দৃঢ় স্পন্দন রুহ অবলীলায়।


একদা সেভাবেই পিচ ঢালা জীবনের বিচিত্র পথে অস্ত ঘটবে আমার,
অপঠিত অধ্যায়ের অস্পর্শী শত পরিচ্ছেদ জানি তখন ক্ষারিত হবে নির্বিঘ্নে নিশ্চিহ্নে।


এভাবেই জীবন চলতে থাকে এক গহীন নিরেট বাধ্য গন্তব্যে পানে,
আর কোন অন্তিম লগ্নে রচিত হয় সেই জীবনের ভবিতব্যের পরম পরিসমাপ্তি।



রচনাকাল-
কলাতলী, কক্ִসবাজার।
2015.Apr.20_02.35 রজনী।