তারপর আমরা পাশাপাশি হেঁটে যাবো অনিন্দ্য অনন্ত,
একটি প্রেম উল্লাসে মুখরিত উৎসব পূর্ণ দ্বীপের দিকে।


তোমার স্নিগ্ধ কথামালা একেকটি উল্কাপিন্ড হয়ে ভীষণ,
ঝরে পড়বে আমার হৃৎপিন্ডের অস্পর্শী সব কামনার পরতে পরতে।


নিটোল উপস্থিতিতে তোমার নির্জীব শঙ্খও হয়ে উঠে নব স্পন্দনে জাগ্রত বিস্ময়,
বেদনার সমস্ত দুঃসহ বিস্মৃতি ভুলে সেই শঙ্খ বাজিয়ে তুলবে বিজয়ের অমৃত সুর।


অতঃপর সিংহল সমুদ্রের শাদাভ শুভ্রতায় আয়োজিত হবে সংবর্ধনা অভিবাদন,
তোমার হৃদয় অন্তর ও আত্মা ভরে উঠবে সু-শোভিত গর্জিত ঢেউয়ের বিস্তৃত লাল গালিচায়।


সীমাহীন বিস্তীর্ণ বালুচরের আদিগন্তে গেয়ে উঠবে প্রকৃতি স্বপ্রাণে,
যুগ যুগান্তরের প্রতীক্ষিত মিলন সমারোহের জয়ধ্বনির সুষম কোরাস।


আশ্চর্যিত সেই কোরাস থেকে বহর যুগে বেরিয়ে আসবে শয় শয় অগণন জোড়া গাঙচিল,
সেই গাঙচিলের ডানায় মিশে আমরা ঢুকে যাবো  অন্তিম সমুদ্রে গুপ্ত প্রেমের অন্দর মহলে।



রচনাকাল-
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।
2015.May.16_ 10.20 রাত্রি।