তুমুল সুশোভিত এক বৃষ্টির পরে আমরা স্বগোত্রীয় জাতি ক্রমশই হেঁটে উঠতে শিখেছি মাত্র,
আদিমতার ঘ্রাণ মেখে নিগ্রোদের কাঁচা মাংসের ভক্ষণ হতে আজিকার সুস্বাদু গোশ্ִতের ভোনা পর্যন্ত।


তারপর কালের আবর্তনে ধাবমান চিত্রা হরিণীর বেগে সভ্যতা পাল্টায় উদিত সূর্যের সাথে,
প্রাচীণ বন মানুষের সমূহ ক্লান্তি  চুষে নিয়ে জঙ্গলগুলো হতে থাকে আধুনিক নগর, শহর ও সাম্রাজ্য।


এখানে মানবজাতি হাল ফ্যাশনের ঝাঁঝালো গন্ধ নাকে নিয়ে,
অবিশ্রান্ত ঘুরে বেড়ায় যাবতীয় বিশ্ব মোড়লদের দ্বারে দ্বারে।


আর মোড়ল বাসীরা সেই গন্ধ লুফে নিয়ে নব্য তকমা দেয় মানবতাবাদের,
যেই মানবতা হুরহুর করে নেতিয়ে যায় বার্মা থেকে প্যালেষ্টাইনের মৃত্তিকা রঞ্জীত রক্তস্রোতে।


এই চক্রেই সভ্যতার আধুনিক রঙের লাগাম ধরে আছি আমরা সেই সদ্য হাঁটতে শেখা জাতি,
আদি পরম্পরা হতে বিস্তীর্ণ ফারাক অস্বীকার করে আমরা সামাগত হই ছদ্মবেশী মুসলিমের মিছিলের কাতারে।


ব্রহ্মাণ্ডের খোলসে মোটা হরফে লেখা থাকে আজ,
সাবধান, এখানে সত্যের আলো জ্বালাতে নেই কখনো।


যদি আত্ম চিৎকারের করুণ হাহাকারে জ্বলে সে সত্যের প্রদীপ দারুণ,
তবে আমৃত্যু উগ্রপন্থী জঙ্গীর বহরে শামিল হতে হবে নির্দ্বিধায় নিদারুণ।


হে বিশ্ব পারাপার,
তোমার তীব্র অগ্নি শিখায় যেমন সবুজের অস্তিত্ব খুঁজা যায়না পরম,
তেমনি সত্যের সুষ্ঠু বিদ্রোহও জাগ্রত করতে নেই তোমার পশ্চিমা থাবার রাজত্বে।


হে আধুনিক রঙচঙা মুখোশী মুসলিম সমাজ তুমি,
করেছো আমার সু-বিমল দ্বার রক্তাক্ত বধ্যভূমি।


হে আধুনিক সভ্য শিষ্ট ধরা, তুমি করেছো আমায় মহান;
প্রতীচী মানবতার সংজ্ঞায়, হয়েছে গোত্র আমার প্রত্যাখ্যান।



রচনাকাল-
2015.Jun.03_01.05 রজনী।
লালদীঘি, চট্টগ্রাম।