অতি সু-কৌশলে নীরব পদাঙ্ক চরণে তোমার অস্তিত্ব জাগ্রত,
পায়েলের দৃঢ় ঝংকার আর চুড়ির মাতাল শব্দেরা সমাদৃত দারুণ।


এখন রাত্রির অনেক গভীরতা  মিশছে রবির চিত্তলয়ে,
যখন নিবৃত চেতনার নীরব আবৃত মোহনায় বিস্মৃতির এলোমেলো মহড়া।


প্রশান্ত ধরণী মুড়িয়ে গেছে শয় শয় কামনার অতল গহরে,
কেবল দ্বিখন্ডিত একদা এক হৃৎপিন্ডই বিভোর; ঝংকার আর মাতাল শব্দের পরতে পরতে।


অভিলাষী কত শত সহস্র চিঠির বর্ণীল খাঁজে পড়ে আছে মান অভিমান,
অভিজাতীক সেসব রজনীর দেহাংশে আজ স্বপ্নের বীভৎস ধ্বংসলীলার তান্ডব।


তবুও অগণন যত ক্ষত পুষিয়ে নেয় জীবনের লেনাদেনা বিস্ময়,
সময়ের স্রোতে কালের ভাঁজে এই ক্ষৌণী এগিয়ে চলে হরদম চরম।


রাত আসে বিরাত যায় দিন শেষে থমকে যায় ক্রন্দিত মহাকাল,
দিন পরে ইতিহাস হয়ে উঠে জ্যান্ত অক্ষরের অভেদ্য মহাপ্রাচীর।


মরীচিকা ওসব পায়েল থেকে চুড়ির নিঃসৃত শ্রবণ ধারা প্রবাহ,
নিত্যই ঘুরে ফেরে ছদ্মবেশী স্মৃতির পিঞ্জরে নিমিষেই।


নিশি করুণ শেষ হয় নিদারুণ প্রতীক্ষার বিনিদ্র লড়াইয়ে,
আসেনা সেসব; হয় প্রলম্বিত মৃগতৃষ্ণা দীর্ঘ রাতের আদলে।



রচনাকাল-
2015.Jun.10_01.05 রজনী।
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।