তোমার নির্বাক প্রশ্ন, কেমন আছো?
যদি এক বুক ভরা অক্সিজেন নিয়ে বলি বেঁচে আছি, তবে কি বুঝবে বাস্তবিকই দুরন্ত আছি অনন্য?


ভ্রান্ত ভরপুর বিবস্ত্র প্রতিউত্তরে যদি খুঁজে না পাও অভিমানী বীণার করুণতর সুর, তবে কার দায়সারা নিয়ে হবে চলন্তিকা তুমি মানবী মহাকালের!!


যে যৌবণ জ্বলন্ত জোনাকির দহনে সিক্ত হয়ে ভস্ম হয়েছিলো একদা, সেকালেইতো আত্মসমর্পন করেছিলো সেই পৌরুষ তোমাতে হৃদয় অর্গলে।


বৃষ্টিহীন যে সমুদ্র স্বলিখিত অভিযোগ এনেছিলো, মেঘপুঞ্জীর ভরণ পোষণে আকাশের বিরুদ্ধে! জানো, আজ সেই সিন্ধুটতে গগণের নিত্য আলাপ হয়, প্রেম হয়, নিটোল ভালোবাসাও হয় অনুপম।


রংধনুর সাত রঙ থেকে আবির খসে কয়েকদফা হৃদয় সাজেয়েছিলো এক পথিক, যে গল্পের উপাখ্যান প্রিয়তমা তোমার অজানা নয় কোন পক্ষেই। তবুও তুমি স্বচিত্তে ডুবে আছো অন্ধ ইতিহাসের পত্র পৃষ্ঠায়।


আমার জমাকৃত কোন অপরাধ নেই তোমার তরে হৃদয় দ্বারে, প্রাচীন স্মৃতির কাঠটোকরা যখন টোকা দেয় মননে, তখন বৃথা সব বিস্মৃতি উঠে আসে টুকটাক শব্দ মিশ্রিত অধরোষ্ঠে।


নির্বিকার এক পাথরের গল্প বলে বলে নিত্য রজনী পোহাতে হয় হাড় কাঁপা বেদনার হিমে, আটলান্টিক কিংবা মাউন্ট এভারেষ্টও যেথায় বশ্ִ হয় নিমিষেই।


অহর্নিশ সময়ের আবর্তনে যদি এভাবেই প্রশ্ন আসে চিত্তলয়ে ঘোর, তবে বলে রাখি, প্রত্যুত্তরও পৌঁছে যাবে ভ্রান্ত ভরা বিস্ময়ে তোমার হৃদয় মাস্তুলে প্রিয়দর্শীনি।



রচনাকাল-
2015.Jun.21_02.15 রজনী।
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।