শ্রাবণী বিরাত থমকে ক্বীরাত গূঢ় নিস্তব্ধতায়,
বিচ্ছিন্নতায় জন্মায় শেকড় বিনিদ্রের তপস্যায়।
কতখানি পথ দগ্ধিত হলে নক্ষত্রমুখি প্রেম ফিরবে,
কতটা বিস্মৃতি পুড়ে হলে ছাই প্রেয়সীর সংস্পর্শ আনবে।
চেতনার তরী ভারি যে আজ খুবই নিজস্ব মহিমায়,
শুভ্র অতীতের খরাস্রোতা নদী ভেঙ্গেছে অকুলতায়।
অমিয় সুধা পিইবার তরে মোর দিবসও রজনী যায়,
বিস্তৃত দু'চোখ তৃপ্তের লাগি কী নিদারুণ যাতনায়।
বৃষ্টির করুণ লাগমহীন ছন্দে আষাঢ় তীব্র মাতে,
ফেলে আসা ক্ষণ শুধু সারাক্ষণ মনন বিবাগে কাঁদে।
আসবেনা জানি সেই মাহাকাল হয়ে চিরকাল আর ভবে,
ধরণীতো তাই হয়েছে বেজাই নিদারুণ তিক্তভাবে।
এখন সময় চলেছে মহা পেতেছে হিংস্র ফাঁদে,
বিভোর চেতনা হয়েছে আনমনা থমকে আর্তনাদে।
তবে তাই হোক চলিছে চলুক জীবনের এই ধূসর জয়গান,
প্রত্যাশা বিমুখ প্রেয়সীর দু'চোখ দেখুক কলতান।
এইতো জীবন যাচ্ছে তবু জীবনের অচিন গান গেয়ে,
যাবে জানি সব করে কলরব হয়ে প্রেমহীন শূণ্যে চেয়ে।
রচনাকাল-
2015.Jun.23_01.20 রজনী।
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।