নিঃশব্দি ভালোবাসার উল্টো পিঠে,
বিভীষিকাময় মুদ্রার চলন দেখে।
কেবল একদিন শুধুই সেদিন প্রশ্ন করেছিলে,
আর কতকাল নীরব দহনে পৈশাচিক অধরদ্বয় নিশ্চুপ রবে?


তোমার সু-কোমল সুরেলা গ্রীবা সংলগ্ন চুলগুলো একদা,
ভীষণ মরিয়ায় ওত পেতে ছিলো প্রত্যাশায় উত্তপ্ত হয়ে।
আমার নিদারুণ খেয়ালহীনে কেবল একটিবার শুধুই সেইবার,
কম্পিত করুণ স্বরে বলেছিলে তুমি,
আর কত সময় প্রলম্বিত হলে পরে জাগ্রত হবে হৃদয়?


প্রেম বুভুক্ষু কামনার উষ্ণ মিছিলে একরাত্রি,
সগৌরবে স্লোগান ধরেছিলো অনাগত এক মানুষ্যের পিন্ড।
তোমার দারুণ আগ্রহ সমেত জিঘাংসা নেমেছিলো কর্ণে আমার,
কে ছিলো দেহের রাজপথ কাঁপানো দামাল কণ্ঠের সেই অগ্র সৈনিক?


শ্রাবণের দীর্ঘ অনলে পুড়ে পুড়ে সন্ধ্যা সমগ্র,
তা হতে শুদ্ধতায় ছেকে নিয়ে এলে বৃষ্টির প্রেম।
ছুঁয়ে দিতেই গড়িয়ে এলো অজানা বিষাদের রক্ত বিন্দু,
অমলিন সেই নির্মল দৃষ্টির ছলছল চাহনীতে প্রশ্ন লিখেছিলে;
এ কেমন জখম পুষে আছো নীরবে আমায় না দিয়ে?


আচমকা নশ্বর ধরার ধ্বংসস্তুপে মিশে গ্যালো প্রেম সমস্ত,
থেমে গ্যালো অতৃপ্ত আত্মাদ্বয়ের পিট পিট হার্টবিট।
তোমার সৎকারহীন শুভ্র দেহাংশের,
অন্তিম এক প্রশ্ন ছিলো আমাতে।
ফের জন্ম যেদিন হবে নব মিলনায়তনে,
সেদিন আসবেতো খুব করে চক্ষুদ্বয় ভেজাতে?



রচনাকাল-
2015.Jul.01_02.20 রজনী।
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।