তারপর আমাদের আলাপ হবেনা অনেকদিন।


উঠবেনা আকাশের ভাঁজে নক্ষত্রের বাঁধভাঙ্গা মিলনমেলা,
নেমে বসবে নীরবতার প্রচ্ছন্ন শত বর্ত্মে ঘুট্ִঘুটে আঁধারমালা।


একটি খুব সহজ সরল কবিতার আক্ষেপে রাত্রি কাঁদবে,
ভোরের শৈশব ক্রমশই মুড়িয়ে যাবে অজানা বৃদ্ধতায়।


হ্যাঁ, তারপর আমাদের আলাপ হবেনা বহুদিন।


এখন রজনীর তীব্র ঘনত্ব প্রবাহমান জোয়ারের খেলা,
উচ্ছল সমুদ্রে প্রলম্বিত ঢেউয়ের নির্বিবাদ ভেলা।


জ্যোৎস্নার নীলাভ গহ্বরে বেজে চলেছে নিঃসঙ্গ এক উড়না,
অবাচী জানলার গ্রীল ধরে ভাসন্ত দু'অক্ষির নিশ্চুপ আকুতি।


দূরত্বের আগ্রাসী আক্রমণে রক্তাক্ত উড়নাংশ,
অস্পর্শী ছোঁয়াহীনে ধূসর চাহনীর ভাসমান ব্যাকুলতা।


অনির্ণেয় সেসব সমীকরণ বৃত্তবন্দি করতে করতে একদা,
তুমি ষোড়শী যৌবণা হয়ে যাবে সময়ের কোলে কোন প্রৌঢ়ভার নারী।


আর আমি ছন্দহীন এক হৃদয়ের  বিবর্ণতার করোটির অতলে,
হারিয়ে ফেলবো কোন প্রেয়সীর অষ্টাদশী প্রেমিকের তকমা।


অস্তমিত দ্রোহের পরে জীবনের জয়গান গেয়ে যদি আচমকা কোন,
যামিনীর নিস্তব্ধতা চূর্ণে প্রকম্পিত করে প্রেমের মিছিল।


তবে চূড়ান্ত দ্বিতয় সমাধি প্রাঙ্গনে লিখে দিও হে পৃথিবী,
আমাদের আলাপন হয়নি কখনো কোনদিন।


তুমি কেবল ছিলে আমার এক অনুদ্ভিন্নযৌবণা নিদারুণ।



রচনাকাল-
2015.Jul.21_02.55 রজনী।
কাপাসঘোলা, চকবাজার, চট্টগ্রাম।