কোথাও ছিলোনা ব্যস্ততার প্রস্থান; তৃষ্ণার্ত নির্জনতার হাহাকার,
টেবিল ক্লকের কাঁটা ছুঁয়ে ইতিহাস বন্দী; সময়ের নির্মোহ বাস্তবতার আক্ষেপ মস্তিষ্কে।


এখনো সময় গড়িয়ে যায় বিষণ্নতার বিস্তৃত বিরহে; এক ফালি সুখ দুর্বোধ্য,
রোদ্দুর ভেজানো আকাশ নেই অনন্তকাল; সময়ের ঘেরাটোপে জলজ করে বিস্তার রাজত্ব।


স্বপ্ন লেপ্টানো অক্ষি তবু শুভ্র এক হৃদয় খোঁজে; এই প্রতারক পূর্ণ ধরায়,
শৈল্পিক ভাবনার সৃজনশীল চাওয়ায় নেমে বহে আঁধার; ভাড়াটে খুনির দল।


রক্তমশাল জ্বলে উঠে বিরান পথে দবানল ছিটিয়ে; টপটপ ঝরে পড়ে মৃত ভাস্কর,
হৃদয় পোড়া গন্ধে বিভোর নগরীর প্রান্তর; এবং অন্তিম সমাধির পাবলিসিটি।


উন্মুক্ত অর্গলে নিষ্প্রাণ প্রেমের বারতা; শোকাহত জনপদ,
প্রচ্ছন্নতায় মুড়ানো নিকষ নীরদের গর্জন; প্রাঞ্জলহীন গগণে নির্বিবাদ কাতরতার বর্ষণ।


সমস্বরে ঢুকরে উঠে বাতাসের অঙ্গন; অগ্নি লহরীতে উত্তাল প্রকৃতি,
সমাধি চিড়ে ফের উঠতে চায় বিচূর্ণ আত্মা; তবুও জীবন স্তিমিত হয়ে রয়।


এ এক অন্য হৃদয়ের কথামালা,
এ এক অন্য মানুষের যাপনের রূপ।



রচনাকাল-
2015.Jul.28_12.20 রজনী।
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।