শেষ কবেকার এঁকেছিলাম চুম্বন দারুণ; নেই মনে,
পড়ে আছে আজো অবিচ্ছেদ্য হিংস্রতা শুষ্কতর উঠোনে।


যদি ভূখাতুর এই বক্ষ ফালি হয়ে সাক্ষ হতো; অপূর্ব বিষাদের,
তবে ধাবমান কোন চিত্রা হরিণী স্তব্ধ করা চুম্বন আঁকতো, জানি।


দলছুট একদল নীরদের পুঞ্জীভূত সমীরণে বর্ষণ; শেষরাত এখন,
অবেলার বারিসিক্ত নেত্রে স্পর্শীত জলবিন্দুর বিষাক্ত হাহাকার।


সময় শিয়রে বেজে যায় টিক টিক শব্দে প্রবাহমান; শূণ্য পঞ্জীকা,
বর্ষণমূখর কোন রাত্রির গল্প হয়ে উঠছে বিবর্ণ এক পেয়ালা ব্ল্যাক কফি।


নিদারুণ একাকীত্বের তুমুল বিভ্রমে গগণ ক্রন্দিত হয়; বৃষ্টি ঝরায় আকুল,
তবুও শুষ্ক উঠোনের হিংস্রতা অস্তিত্বের জয়গানে কলরব প্রচুর।


এখানে অপূর্ব বিষাদের তল্লাটে তবু বর্ষা নামে; রজনীর অন্দরে,
এখানে বিলুপ্ত চিত্রা হরিণীর তরে বিলাপ হয় আকাশের সুরে সুরে।


শ্রাবণ রাতের আয়োজিত গীতযজ্ঞে অসমাপ্ত চুম্বনের নিলাম; অথচ বুভুক্ষু বক্ষ,
শুধুই অনন্ত প্রতীক্ষার পসরায় ব্ল্যাক কফির পেয়ালায় সময় বন্দী করে এই পথিক।


অতঃপর নিলামের ইতি; শেষ রাতের বৃষ্টি হয়ে করুণ।



রচনাকাল-
2015.Oct.01_03.45 প্রত্যূষ।
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।