দারুণ মৃত্যুক্ষুধায় জর্জরিত একলা দুপুর,
বয়ে নিয়ে যাচ্ছে জীবনে সমস্ত স্পন্দন সুখস্রোত।


শতাব্দীর পিছে পিছে লেগে যাচ্ছে বহমান সময়,
প্রকৃতি ও জীবন্ত উদ্ভিদের মুখে পিঠে বিবর্তনের দাগ।


খুব স্থবির নেত্রপাড়ে ফুটে উঠে সুনসান আঁধার,
আর অপরাহ্নের আগেই উত্থাপিত হয় বেঘুরো সন্ধ্যা।


ততক্ষণে আমার যাওয়ার কথা ছিলো স্থিরহীন এক উদ্যানে,
পিনপতন নীরবতায় সওয়ারী হয়ে পাঁচ মধ্যহ্নের আগেই।


কিন্তু এখন উদ্যানে ইতিহাস বদলে ধ্বনিত হচ্ছে; বিপ্রতীপ শিসধ্বনি,
মধ্যাহ্ন, রাত্রির আঁধার ভঞ্জ না করেই হয়ে আছে; মৃত্যুর ক্ষুধার্ত।


এভাবেই পৃথিবী নামের গ্রহ থেকে ভেসে যাচ্ছে জীবন,
ক্রমশই সুকঠিন হয়ে উঠছে বিবর্তনের শৃঙ্খলমুক্তের প্রচেষ্টা।


অবগুণ্ঠিতা পৃথিবীকে উন্মুক্ত করার সহস্র জো থাকার পরেও,
আমি যেন স্ব-অবাধ্যতায় তলে তলে নেমে যাচ্ছি; ভয়নাক এক মুখোশের ঘোমটায়।


রচনাকাল-
2015.Oct.27_02.30 মধ্যাহ্ন।
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।