আঁধার উল্লাসে মুখরিত এক নগরীর বক্ষ  হতে,
সুনিপূণ উঠে এলো একাকীত্বের মেঘপুঞ্জী।


সে নীলচে নীরদের প্রপাত গেঁথে আছে স্বয়ং অক্ষি গোলকে,
বিরাজমান নিঃসঙ্গ সে ধারায় ক্ষয়ে ক্ষয়ে বিলীন হয় অপেক্ষা।


শঙ্খচিলের দাপানো ডানায় একদা মৃত্যুদূত এসেছিলো,
বিবর্ণ ইতিহাস খুলে যুক্তি দিয়েছিলো মৃত্যুর আলিঙ্গনের।


স্থবির বিষাদের অতল গহ্বরে বিষম প্রত্যাশা জ্বেলে,
একবার দুবার বারবার ফিরিয়ে দিয়েছি খোদ মৃত্যুদূতকে।


যাপিত জীবনের শেষাংশে এসেও প্রতীক্ষা আজও অঁটুট,
হয়নি বলা কতটুক কামনা হলে নিঃশেষ জমবেনা নীল নীরদ।


অক্ষত সে প্রতীক্ষার পূর্ণতার তীব্র আকাঙ্ক্ষায়,
প্রতিনিয়তই গলে গলে যায় আমার সহস্র রাত্রির দীর্ঘতা।


প্রাপ্তির অদৃশ্য রজ্জু ছুঁয়ে সীমাহীন দুচোখ,
প্রত্যন্ত আলোকবর্তীকায় নিবিষ্ট হয় নিদারুণ প্রত্যাশায়।


তারপর অনাবিল বিরাতের নিকষ আঁধার সময় শুষে শুষে,
ধরণীকে মুড়িয়ে ফেলে বহু শতাব্দিতে।


তবুও পল্লোবিত আঁধারের নগরের নির্মক্ষিকতা থাকে অম্লান,
নিঃসঙ্গের করুণ ব্যাঞ্জনার বিচ্ছেদী সুর হয়ে যায় অমলিন।


রচনাকাল-
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।
2015.Oct.25_01.30 রাত্রি।